কলকাতা: যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইউক্রেনে হামলার অভিযোগ উঠল রাশিয়ার বিরুদ্ধে। দুই শহরে মানব করিডরের উপর বোমা বর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ইউক্রেনের বিরুদ্ধেই মধ্যস্থতারীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে।


সকালে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা। দুপুর গড়াতে না গড়াতেই ফের হামলা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলল ইউক্রেন। রুশ গোলা বর্ষণের জন্য মারিউপোলে পিছিয়ে গেল উদ্ধারকাজ। গত কয়েকদিন ধরে আজভ সাগর তীরবর্তী বন্দর শহর মারিউপোল অবরুদ্ধ করে রেখেছে রাশিয়া। মারিউপোল থেকে ৬৬ কিলোমিটার দূরের ভলনোভাখাও ভৌগলিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ। 


শনিবার ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় ইউক্রেনের এই দুটি শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে রাশিয়া। দুই শহর থেকে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপদে বেরোনোর জন্য ৭ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। একে একে দেশ ছাড়তে শুরু করেন মারিউপোল ও ভলনোভাখার বাসিন্দারা।


অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা ব্রিগেডিয়ার প্রবীর সান্যাল বলেন, "সেফ প্যাসেজ কয়েক ঘণ্টার জন্য দেওয়া হয়েছে। বিদেশি নাগরিক যারা রয়েছেন এবং বয়স্ক, শিশু, মহিলারা চলে যেতে পারেন। কিন্তু রাষ্ট্রের নাগরিকরা এককাট্টা। প্রেসিডেন্ট অনড় রয়েছেন। পরাজয় স্বীকার করবেন না।" স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি! ইউক্রেনের দাবি, যুদ্ধবিরতির পর মারিউপোলের ২ লক্ষ এবং ভলনোভাখার ১৫ হাজার বাসিন্দাকে সরানোর তোড়জোড় শুরু হয়। 


কিন্তু, দুই শহরেই মানব করিডরের উপর হামলা চালায় রাশিয়া। ইউক্রেনের দাবি, লাগাতার বোমাবর্ষণের জেরে, মারিউপোলে পিছিয়ে যায় উদ্ধারকাজ যদিও রাশিয়ার পাল্টা দাবি, খারকভ ও সুমিতে সেফ প্যাসেজ করতে দিচ্ছে না ইউক্রেনই। এমনকী মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বিদেশিদের। 
 
এদিকে, লাগাতার রুশ হামলা এড়াতে ‘নো ফ্লাই জোনের’ পক্ষে সওয়াল করছিল ইউক্রেন। কিন্তু পশ্চিম দেশগুলির সামরিক জোট ন্যাটোর দাবি, আকাশসীমা বন্ধ করা নিয়ে ইউক্রেনের দাবিকে সমর্থন করেনি কোনও দেশই। ক্ষুব্ধ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেন, প্রাণহানি নিশ্চিত জেনেও রাশিয়াকে আকাশপথে হামলা চালানোর ছাড়পত্র দিচ্ছে ন্যাটো।  


রুশ হামলায় তছনছ হতে বসেছে সাজানো গোছানো ইউক্রেন। আর সেখানেই যুদ্ধবিরতির মধ্যেই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল রাশিয়ার বিরুদ্ধে।