নয়া দিল্লি: ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন নিয়ে আজ নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হবে। জানা গিয়েছে ভারতীয় সময় রাত ১টা নাগাদ রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়ে বৈঠকে বসছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে। এখানে এই গুরুত্বপূর্ণ ভোটাভুটিতে অংশ নিচ্ছে ভারত-সহ ১৫টি দেশ। রুশ আগ্রাসন না ইউক্রেনের পরিস্থিতি, কোন দেশ কার পক্ষে? আজ মধ্যরাতেই নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি।
বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, চূড়ান্ত খসড়া দেখে রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়ে অবস্থান নেওয়া হবে। ইউক্রেনের সরকারের বিরুদ্ধে সেনা অভ্যুত্থানের ডাক রাশিয়ার। শর্ত সাপেক্ষে ইউক্রেন নিয়ে আলোচনার আশ্বাস ভ্লাদিমির পুতিনের। ক্রিমিয়া রাশিয়ার অংশ মানতে হবে ইউক্রেনকে, শর্ত পুতিনের।ন্যাটো সদস্য হব না, মুচলেকা দিতে হবে ইউক্রেনকে, এমন শর্তও দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
একদিকে যুদ্ধ...অন্যদিকে কৌশল...এই পথেই হাঁটছেন ভ্লাদিমির পুতিন...এবার ইউক্রেনে সেনা অভ্যুত্থানের ডাক দিলেন তিনি। শক্তিধর পুতিন আলোচনার জন্য ইউক্রেনের সামনে দু’টি শর্ত রেখেছেন। ১. ইউক্রেনকে মেনে নিতে হবে যে ক্রিমিয়া রাশিয়ারই অংশ। ২. ইউক্রেন কোনওদিন ন্যাটোর সদস্য হতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, পুতিন ছিলেন দুঁদে গুপ্তচর। এখন রাশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রেসিডেন্ট। বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রনায়কদের মধ্যে একজন। অপরজন, ছিলেন কমেডিয়ান-অভিনেতা। এখন দেশের প্রধান। দেশের সঙ্কটের মুহূর্তে রাশ তাঁর হাতে। দেখে মনে না হলেও, একজনের বয়স এখন ৭০। অপরজনের বয়স সবেমাত্র ৪৪। সম্মুখসমরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দখলের জন্য উস্কে দিলেন পুতিন। ইউক্রেনের বর্তমান সরকারকে ‘নিও নাৎসি’ আখ্যা দিয়ে পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর উচিত ‘নিও নাৎসি’দের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে শাসন ক্ষমতা দখল করা। ওদের (ইউক্রেন সেনাবাহিনী) সঙ্গে রাশিয়ার আলোচনা করতে সুবিধা হবে। কিন্তু, ইউক্রেনের সেনা কি পুতিনের ফাঁদে পা দেবে, না কি জেলেনস্কি নিজেই ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।