জয়ন্ত রায়,মহেশতলা: রবিবার ভোট। শুক্রবারই শেষ হয়েছে প্রচারের সময়সীমা। প্রচারের শেষদিন পর্যন্তও উত্তপ্ত থাকল মহেশতলা পুর এলাকা।
স্থানীয় বিজেপি প্রার্থীদের অভিযোগ, পুরভোটের জন্য তাঁদের প্রচারই করতে দেয়নি তৃণমূল। এর মধ্যেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারপিট ও ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন মহেশতলা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী প্রদীপ কুমার শর্মা। তাঁর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাঁর বাড়ির দরজায় লাথি মারার অভিযোগ করেছেন তিনি। প্রদীপ কুমার শর্মা বলেন, 'রাতে এসে আমার বাড়ির দরজায় লাথি মেরেছে। হুমকি দিয়েছে। ভোটের প্রচার যাতে না করি সেটাও বলেছে।' শুধু তাঁর বাড়িতেই নয়। ওই এলাকার বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে গিয়েও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই রাতেই বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী প্রদীপ কুমার শর্মা।
প্রার্থীর আরও অভিযোগ, তাঁর এক দলীয় কর্মীর বাইকে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এলাকায় প্রচারের জন্য লাগানো বিজেপির পতাকা ও প্রচারের হোর্ডিংও ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের। ভোটের দিনও রিগিংয়ের আশঙ্কা করেছেন প্রার্থী।
যদিও সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ওই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল প্রার্থী সব্যসাচী বসু বলেন, 'আমাদের দলের কেউ এই কাজ করেনি। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এমনটা ঘটেছে।'
ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই ঘটনা নিয়ে রবীন্দ্র নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও তাতে কারও নাম উল্লেখ নেই। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে শুক্রবার রবীন্দ্রনগরের বিভিন্ন এলাকায় রুটমার্চ করা হয় ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: 'খড়গপুরের পুলিশ অফিসাররা তৃণমূল নেতাদের সেলাম করে চলে', ফের বিতর্কিত মন্তব্য দিলীপের