নয়া দিল্লি: মিনিটে মিনিটে আকাশ থেকে উড়ে আসছে রুশ সেনার ছোড়া মারাত্মক সব মিসাইল। সেকেন্ডের মধ্যে ধুলোয় মিশে যাচ্ছে ইউক্রেনের বিরাট বিরাট সব অট্টালিকা। বীভৎস বিস্ফোরণে আকাশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে আলোর ঝলকানি। কোথাও আবার গোটা এলাকা ঢেকে যাচ্ছে কালো ধোঁয়ায়। প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে অসংখ্য মানুষের। এই পরিস্থিতিতে রুশ আগ্রাসন থামাতে এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ফোন করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
সূত্রের খবর, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ফোন করে জেলেনস্কি সাহায্য করার আর্জি জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, দুই বিশ্ব নেতার মধ্যে আলোচনার সময় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি টুইটে লিখেছেন, "আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই আগ্রাসীদের থামাতে হবে"। এরপর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট একটি টুইটও করেন। সেখানে তিনি বলেন, "এইমাত্র জো বাইডেনের সঙ্গে কথোপকথন হয়েছে। রুশ বিরোধী নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেনে প্রতিরক্ষা সহায়তা নিয়ে আমেরিকান নেতৃত্বের আলোচনা হয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আগ্রাসীদের থামাতে হবে। আপনার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।"
হোয়াইট হাউসের তরফে বলা হয়েছে যে জেলেনস্কি এবং বাইডেন "নিরাপত্তা সহায়তা, অর্থনৈতিক সহায়তা এবং মানবিক সহায়তার" বিষয়গুলি নিয়ে কথাবার্তা বলেছেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, দুই নেতা বেবিন ইয়ার হলোকাস্ট স্মৃতিসৌধের কাছে বোমা হামলা সহ নাগরিকদের উপর রাশিয়ার হামলার বিষয়েও কথা বলেছেন।
এদিকে, এরই মধ্যে ইউক্রেনের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর এসেছে মঙ্গলবার। ইউরোপীয় ইউনিয়নে সামিল হওয়ার আবেদনে সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। অর্থাৎ ইউক্রেন এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নে সামিল হচ্ছে। মঙ্গলবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ভার্চুয়াল বক্তৃতায় তিনি বলেন, অধিকাংশ শহর দখল হয়ে গেছে। তা-ও আমরা দেশের জন্য, স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছি। কেউ আমাদের ভাঙতে পারবে না। আমরা শক্তিশালী ইউক্রেনিয়ান। দৃপ্ত বক্তৃতার উঠে দাঁড়িয়ে তাঁর কুর্নিশ জানান ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সমস্ত সদস্য।
অন্যদিকে, মঙ্গলবারও ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টর সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন তিনি।