কলকাতা: আলোচনায় থামবে যুদ্ধ? রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে ইউক্রেন (Ukraine) বৈঠকে রাজি হওয়ায়, দেখা দিয়েছে আশার আলো। তবে এরই মধ্যে ইউক্রেনে গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। কানাডার (Canada) পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) দেশগুলিও রুশ বিমানের জন্য আকাশপথে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
মাত্র চার দিনেই বদলে গেছে ছবির মতো ইউক্রেনের চেহারা। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে খারকিভ-সহ পূর্বের একাধিক শহর। রাস্তায় ট্যাঙ্কের গর্জন...আকাশে ফাইটার জেট ও হেলিকপ্টারের চক্কর!! যখন তখন উড়ে আসছে গোলা! রুশ বিমানের ছোড়া গোলা এসে পড়েছে রাজধানী কিভেও। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহুতল। ঘরবাড়ি ছেড়ে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ।
এতদিন মূলত ইউক্রেনের সেনা ছাউনি ও পূর্ব সীমান্তবর্তী শহরগুলিকেই নিশানা করে আসছিল রাশিয়া, কিন্তু রবিবার দানিলিভকায় (Danylivka) একটি গ্যাস পাইপলাইনে পুতিনের সেনাবাহিনী বিস্ফোরণ ঘটায় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে আবার NATO-র লাগাতার চাপের মুখে, দেশের সমস্ত পরমাণু প্রতিরোধ বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলেছে রাশিয়া। তবে ভয়ঙ্কর এই পরিস্থিতির মধ্যেও আশার কথা হল, প্রথমে আপত্তি জানিয়েও প্রতিবেশী দেশ বেলারুসে রাশিয়ার প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে সম্মতি জানিয়েছে জেলেনস্কির সরকার।
আরও পড়ুন, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ফের শরণার্থী সঙ্কট, ইউক্রেন ছেড়েছেন প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ
তবে যুদ্ধ যতক্ষণ না থামছে নিশ্চিন্তে থাকতে পারছে না ভারতও। কারণ এখনও সেদেশে আটকে রয়েছেন এদেশের হাজার হাজার ডাক্তারি পড়ুয়া। যাদের মধ্যে একজন রায়দিঘির অর্কপ্রভ বৈদ্য। অর্কপ্রভর মতো ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে যাতে সুবিধা হয়, তার জন্য তাঁদের বিনা ভিসায় প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে পোল্যান্ড। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে দেশবাসীকে ফিরিয়ে আনার কর্মসূচিকে, ‘অপারেশন গঙ্গা’ নাম দিয়েছে ভারত সরকার। সেই অনুযায়ী রবিবার দিল্লিতে ফেরে এয়ার ইন্ডিয়ার আরও একটি বিশেষ বিমান।
রাশিয়া ও ইউক্রেন নিয়ে এখনও ভারসাম্য বজায় রেখে চলেছে মোদি সরকার। তবে আগামীদিনে দুই দেশকে নিয়ে কূটনৈতিক রূপরেখা কী হবে, তার জন্য রবিবার রাতে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রীংলা।