নয়া দিল্লি: শেষপর্যন্ত আলোচনার টেবিলে বসতে চলেছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। বেলারুশের সীমান্তে হবে ওই বৈঠক। তবে ঝুঁকি থাকায় কিভ-এর প্রতিনিধিদল সরাসরি ইউক্রেন থেকে বেলারুশ সীমান্তে যাবে না। পোল্যান্ড হয়ে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল বেলারুশের গোমেল এলাকায় যাবে। সেখানেই হবে দু’পক্ষের বৈঠক। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল বেলারুশের দিকে রওনা দিয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে স্যাটেলাইট ধরা পড়ল যে রবিবার অতিরিক্ত সৈন্য ও যুদ্ধ সরঞ্জাম সহ কিভের দিকে অগ্রসর হচ্ছে রুশ সেনা। 


আমেরিকার মহাকাশ সংস্থা ম্যাক্সার টেকনোলজিস বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছে যেখানে দেখা গিয়েছে প্রায় ৩.২৫ মাইল লম্বা এলাকায় সেনারা ধীরে ধীরে কিভের দিকেও রওনা হয়েছেন। সেই স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা যায় ইউক্রেনীয় শহর ইভানকিভের উত্তর-পূর্ব থেকে কিভের দিকে যাত্রা করেছে রুশ বাহিনী। ইভানকিভের কাছে শেভচেঙ্কা রোডে সামরিক যান দেখা গিয়েছে। 


কিভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো সংবাদসংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে বলেছিলেন যে রাজধানী শহর থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়া তার পক্ষে অসম্ভব ছিল। তিনি বলেন,  “আমরা তা করতে পারি না, কারণ সমস্ত পথ অবরুদ্ধ, সমস্ত পথ অবরুদ্ধ এবং এই মুহূর্তে আমরা ঘেরাও হয়ে আছি — সর্বত্র রাশিয়ানরা রয়েছে এবং আমাদের কাছে জনগণকে সরিয়ে নেওয়ার উপায় নেই। এবং যারাই নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল তারা ইতিমধ্যেই সরে গেছে।” 


এদিকে, সম্মুখ সমরে রাশিয়া-ইউক্রেন। ইউক্রেন জুড়ে চরম সতর্কতা। নিরাপত্তার স্বার্থে হোটেল কর্মী থেকে অতিথি সবাইকে সরানো হচ্ছে বেসমেন্টে।                                                      


ইউক্রেনের (Ukraine) রাজধানী কিভে (Kyiv) এবার রাশিয়ার বিমান হামলার (Air Strike) আশঙ্কা। কিভে শোনা গিয়েছে বিমান হামলার সাইরেন। ফলে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। রাশিয়া হামলা চালানোর পর থেকেই জারি হয়েছে কার্ফু ও সামরিক আইন। এরই মধ্যে বিমান হানার আশঙ্কা।


এতদিন মূলত ইউক্রেনের সেনা ছাউনি ও পূর্ব সীমান্তবর্তী শহরগুলিকেই নিশানা করে আসছিল রাশিয়া, কিন্তু রবিবার দানিলিভকায় একটি গ্যাস পাইপলাইনে রাশিয়ার সেনাবাহিনী বিস্ফোরণ ঘটায় বলে অভিযোগ।