নয়া দিল্লি: রাশিয়ার (Russia) ইউক্রেন (Ukraine) দখল কার্যত সময়ের অপেক্ষা, কিয়েভেও (Kyiv) ঢুকল ট্যাঙ্ক। এদিকে, এই পরিস্থিতিতে আলোচনার জন্য তৈরি ইউক্রেন, দাবি রুশ সংবাদসংস্থার। অন্যদিকে রাশিয়ার তরফে সাফ জানান হয়েছে যে আত্মসমর্পণ করলে বন্ধ হবে যুদ্ধ। এই আবহে আলোচনার জন্য পুতিনের কাছে বার্তা ইউক্রেনের। এই পরিস্থিতিতে আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গেলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ঢুকল রুশ সেনা। বেলারুশের দিক থেকে কিয়েভে রুশ সেনা ঢুকেছে বলে খবর। তুমুল সংঘর্ষ চলছে বিভিন্ন জায়গায়। সেইসঙ্গে চলছে রাশিয়ার বিমানহানাও। কিয়েভের আকাশে ধ্বংস হয়েছে ইউক্রেনের বিমান। ইউক্রেন সরকার স্বীকার করেছে, এখনও পর্যন্ত যুদ্ধে তাদের দেশের জওয়ান সহ ১৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩৬০ জন। পাল্টা হামলায় ৮০০ জন রুশ সেনাকে মারতে সক্ষম হয়েছে তারা, দাবি ইউক্রেনের। সকাল থেকেই ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় বিস্ফোরণ ও রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর মিলেছে। কোনও ব্রিটিশ বিমানকে নিজেদের আকাশসীমায় ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়া।
অন্যদিকে, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি হয়ে ইউক্রেনে আটক ভারতীয়দের উদ্ধারের আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। রোমানিয়া, হাঙ্গেরি সীমান্তের চেক পোস্টে ভারতীয় কূটনীতিকরা রয়েছেন। রুশ হামলার মুখে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারে তৎপরতার সঙ্গে চলছে কাজ। আটকে পড়া ভারতীয়দের রোমানিয়া-হাঙ্গেরি সীমান্তের দিকে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গাড়িতে ভারতীয় পতাকা লাগিয়ে সীমান্তের দিকে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরানোই এখন চিন্তা নয়াদিল্লির। সূত্রের খবর, যেহেতু ইউক্রেনে আসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ, তাই সড়কপথে প্রতিবেশী দেশগুলিতে ভারতীয়দের নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড, এই চারটি দেশে ভারতীয়দের সড়কপথে নিয়ে এসে সেখান থেকে বিমানে দেশে ফেরানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই পরিবহণ খরচ সবটাই কেন্দ্রীয় সরকার বহন করবে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে রোমানিয়ার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এস জয়শঙ্কর।