নয়া দিল্লি : নবীন শেখারাপ্পা জ্ঞানগউধের মৃত্যুর তদন্ত করবে রাশিয়া। এমনই জানালেন রাশিয়ার দূত ডেনিস আলিপোভ। গতকাল ইউক্রেনে খারকিভ ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির চতুর্থ বর্ষের ছাত্র কর্ণাটকের নবীনের মৃত্যু হয় বোমাবর্ষণে। খাবার আনতে বাইরে বেরিয়েছিলেন তিনি। তখনই হামলার শিকার হন।


নবীনের বন্ধুরা জানিয়েছেন, মুদির জিনিস আনতে গিয়েছিলেন নবীন। দোকানের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় আঘাত পান তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাছের একটি সরকারি ভবন উড়িয়ে দেয় রাশিয়ানরা। যদিও ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শৃঙ্গলার বক্তব্য, নবীনের মৃত্যু কোন পরিস্থিতিতে হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।


সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে এক বিবৃতিতে ডেনিস আলিপোভ বলেন, নবীন শেখারাপ্পা জ্ঞানগউধের পরিবার এবং গোটা ভারতকে এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য সমবেদনা জানাই। যেখানে চূড়ান্ত পর্যায়ে লড়াই চলছে, সেখানে ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সবকিছু করবে রাশিয়া। এছাড়া এই মর্মান্তিক ঘটনার যথাযথ তদন্ত করা হবে।


মঙ্গলবার সকালে খারকিভের (Kharkiv) স্থানীয় সুপারমার্কেটে খাবার কিনতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন কর্ণাটকের (Karnataka) হাবেরির বাসিন্দা নবীন শেখারাপ্পা জ্ঞানগউধ (২১) (Naveen Shekarappa Gyanagoudar)। ঠিক তখন আকাশ জুড়ে দখল নিয়ে ক্রমাগত বোমাবর্ষণ শুরু করে রুশ যুদ্ধবিমান (Russian Fighet Plane)। আর সেই বোমাবর্ষণের অভিঘাতেই ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে গিয়ে প্রাণ খোয়াতে হয় ভারতের ছাত্র নবীনকে। খারকিভ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। 


প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর ৩০০-র বেশি সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার নিয়ে মনিটর করা একটি দল জানিয়েছিল, ৩৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। 


এই পরিস্থিতিতে অপারেশন গঙ্গা-র আওতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের ফেরানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি ভারতের তরফে রাশিয়া ও ইউক্রেনের দূতদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে যাতে খারকিভ ও অন্যান্য কনফ্লিক্ট জোন থেকে ভারতীয়দের নিরাপদে ফিরিয়ে আনা যায়।