ইউক্রেনের উত্তর সুমি এলাকার রেলস্টেশনে ড্রোন হামলা রাশিয়ার। এর জেরে অন্তত ৩০ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে খবর। আকাশপথে রাশিয়ার হামলাকে "বর্বরোচিত" বলে আক্রমণ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। প্রাথমিক রিপোর্টের কথা তুলে ধরে, জেলেনস্কি বলেন, হামলার সময় ইউক্রেন রেলের কর্মী ও যাত্রীরা ট্রেনে ছিলেন। ঘটনার একটি ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন জেলেনস্কি। যাতে দেখা যাচ্ছে, একটি ক্ষতবিক্ষত ট্রেনের বগি আগুনে পুড়ে গেছে, যা পেঁচানো ধাতু এবং ভাঙা জানালা-সহ ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
রিজিওনাল গভর্নর ওলেহ হ্রিহোরভকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলার টার্গেট ছিল একটি রেল স্টেশন। এই ট্রেনটি শোস্তকা থেকে কিভগামী ছিল। তাতেই আঘাত হানা হয়। রিজিওনাল গভর্নর বলেন, "সুমি অঞ্চলের শোস্তকার রেলস্টেশনে রাশিয়ার এক বর্বরোচিত ড্রোন হামলা। সমস্ত জরুরি পরিষেবা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং মানুষকে সাহায্য করা শুরু করেছে। আহতদের সম্পর্কে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত, আমরা কমপক্ষে ৩০ জন নিহতের কথা জানি। প্রাথমিক রিপোর্টে দেখা গেছে যে, Ukrzaliznytsia-র কর্মী এবং যাত্রীরা উভয়ই হামলার স্থানে ছিলেন।"
এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় হতাশ জেলেনস্কি মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, "মুখ খোলা" যথেষ্ট নয় এবং এই হামলাকে জঙ্গি কার্যকলাপ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, "রাশিয়ানরা জানেন যে তাঁরা অসামরিক নাগরিকদের উপর হামলা চালাচ্ছেন। আর এই সন্ত্রাসবাদকে বিশ্বের উপেক্ষা করা উচিত নয়। প্রতিদিন রাশিয়া মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে। কেবল শক্তিই তাদের থামাতে পারে। আমরা ইউরোপ এবং আমেরিকা থেকে দৃঢ় বক্তব্য শুনেছি - এবং এখনই সময় এসেছে তা বাস্তবে রূপান্তরিত করার। এখন কেবল মুখের কথা বলা যথেষ্ট নয়। কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।"
গত অগাস্ট মাসে জলপথে ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। মার্কিন শান্তি বার্তা উপেক্ষা করে নৌ-ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছিল রাশিয়া।
এদিকে গত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। দফায় দফায় আলোচনাতেও সমঝোতা হয়নি আজ পর্যন্ত। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি হয়নি। বরং রোজই দুই তরফে আগ্রাসনের খবর উঠে আসছে।