নয়া দিল্লি: যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেন। রুশ কামান আর ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে তছনছ মাথা গোঁজার ঠাঁই! ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে কিভ, খারকিভ, ওডেসার মতো শহর। এই পরিস্থিতিতেই পাল্টা আঘাত হানার দাবি করল ইউক্রেন। সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর দাবি, শনিবার তারা ধ্বংস করেছে কয়েকটি রাশিয়ান ট্যাঙ্ক, মিলিটারি ট্রাক ও গাড়ি।


ইউক্রেন স্বাস্থ্য মন্ত্রক রবিবার জানিয়েছে, রাশিয়ার আক্রমণের ফলে ৩৫২ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৪ জন শিশু। এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার আক্রমণের ফলে এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না ইউক্রেন। এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ৬৮৪ জন আহত হয়েছেন এবং ১১৬ জন শিশু আহত হয়েছে।                                         


ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিয়ে পঞ্চম বিমান ফিরল দেশে। মুম্বই বিমানবন্দরে নামে বিমানটি।  এই দফায় আড়াইশো জন ভারতীয়কে আনা হয়েছে। ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ বলে প্রতিবেশি দেশ পোল্যান্ড, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া হয়ে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। শেষপর্যন্ত আলোচনার টেবিলে বসতে চলেছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। বেলারুশের সীমান্তে হবে ওই বৈঠক। 


মাত্র চার দিনেই বদলে গেছে ছবির মতো ইউক্রেনের চেহারা। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে খারকিভ-সহ পূর্বের একাধিক শহর। রাস্তায় ট্যাঙ্কের গর্জন...আকাশে ফাইটার জেট ও হেলিকপ্টারের চক্কর!! যখন তখন উড়ে আসছে গোলা! রুশ বিমানের ছোড়া গোলা এসে পড়েছে রাজধানী কিভেও। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহুতল। ঘরবাড়ি ছেড়ে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ।                   


এতদিন মূলত ইউক্রেনের সেনা ছাউনি ও পূর্ব সীমান্তবর্তী শহরগুলিকেই নিশানা করে আসছিল রাশিয়া, কিন্তু রবিবার দানিলিভকায় (Danylivka) একটি গ্যাস পাইপলাইনে পুতিনের সেনাবাহিনী বিস্ফোরণ ঘটায় বলে অভিযোগ।  অন্যদিকে আবার NATO-র লাগাতার চাপের মুখে, দেশের সমস্ত পরমাণু প্রতিরোধ বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলেছে রাশিয়া। তবে ভয়ঙ্কর এই পরিস্থিতির মধ্যেও আশার কথা হল, প্রথমে আপত্তি জানিয়েও প্রতিবেশী দেশ বেলারুসে রাশিয়ার প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে সম্মতি জানিয়েছে জেলেনস্কির সরকার।