মস্কো: ভ্লাদিমির পুতিনের ২০৩৬ সাল পর্যন্ত রুশ প্রেসিডেন্ট পদে থাকার পাকাপোক্ত বন্দোবস্ত হচ্ছে। এমনিতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ওই পদে বহাল থাকবেন তিনি। এবার তাঁর ওই পদে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের সংবিধান সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাতে সমর্থন জানিয়েছেন প্রায় ৭৮ শতাংশ মানুষ। রুশ সুপ্রিম কোর্ট আগেই একাধিক সাংবিধানিক বদল অনুমোদন করেছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও তাতে সম্মতি দিয়েছেন। ভোটগ্রহণ সেই বদলকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার চূড়ান্ত ধাপ।
বিরোধীরা এই ভোটাভুটির নিন্দা করে পুতিনের আজীবন প্রেসিডেন্ট থাকাই লক্ষ্য বলে দাবি করেছেন। যদিও তা অস্বীকার করেছেন পুতিন।
সপ্তাহব্যাপী অনলাইনে হয়েছে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। সমালোচকদের বক্তব্য, এর ফলে তাতে নজর রাখা কঠিন ছিল। অনলাইন ভোটের ফলকে ‘বিরাট মিথ্যা’ বলে খারিজ করে ক্রেমলিনের কট্টর সমালোচক অ্যালেক্সি নাভালনির দাবি, দেশের প্রকৃত জনমতের প্রতিফলন হয়নি এতে।
পুতিন দেখতে দেখতে ২০টা বছর রাশিয়ার মসনদে কাটিয়ে দিলেন, কখনও প্রধানমন্ত্রী, আবার কখনও প্রেসিডেন্ট হিসাবে। তিনি যেসব ইস্যু সামনে রেখে সংবিধান বদলের উদ্যোগ নিয়েছেন, তার মধ্যে আছে সমকামী বিয়ে নিষিদ্ধ করা। বিয়ের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এই বলে যে, তা হতে পারে নারী, পুরুষের মধ্যেই। রাশিয়ার প্রাচীন ‘ঈশ্বর বিশ্বাসে’র রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে। রুশ ভাষা ও ইতিহাস সংরক্ষণে ন্যূনতম বেতন, পেনশন ও ভাতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।