নিউইয়র্ক : "যখন কোনও দেশ সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসাবে ঘোষণা করে, যখন জঙ্গি ঘাঁটি শিল্পের পর্যায়ে পরিচালিত হয়, যখন জঙ্গিদের প্রকাশ্যে মহিমান্বিত করা হয়, তখন এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা করা উচিত।" রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ফের পাকিস্তানকে তুলোধনা ভারতের। পহেলগাঁওয়ে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার ঘটনা তুলে ধরে পাকিস্তানকে নিশানা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর সরাসরি তোপ, পাকিস্তান "বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের উৎপত্তিস্থল।"
বিশ্বের তাবড় নেতাদের সামনেই জয়শঙ্কর বলেন, "স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে আসছে, কারণ আমাদের প্রতিবেশী দেশটি বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল। কয়েক দশক ধরে, বড় বড় আন্তর্জাতিক জঙ্গি হামলার ঘটনাগুলি সেই একটি দেশেই ঘটে। রাষ্ট্রসংঘের তকমাপ্রাপ্ত জঙ্গিদের তালিকা তাদের নাগরিকদের দ্বারা পরিপূর্ণ।" তিনি সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের নিন্দা করেন এবং বলেন যে, এটি বন্ধ হওয়া উচিত। জয়শঙ্করের কথায়, "সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে, এমনকী শীর্ষস্থানীয় জঙ্গিদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। সমগ্র সন্ত্রাসবাদের উপর নিরলস চাপ প্রয়োগ করতে হবে। যারা সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতাকারী দেশগুলিকে প্রশ্রয় দেয়, তারা দেখতে পাবে যে সন্ত্রাসবাদ তাদের উপর আবারও আঘাত হানবে।"
এদিকে রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সামনেই পাকিস্তানকে চাঁচাছোলা ভাষায় ধুয়ে দিয়েছেন ভারতীয় কূটনীতিক পেটাল গহলৌত। রাষ্ট্রপুঞ্জে বক্তব্য পেশের সময় পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ দাবি করেন অপারেশন সিঁদুরের নামে ভারত তাদের উপর কোনও প্ররোচনা ছাড়াই আগ্রাসন চালিয়েছে। কিন্তু তারা চার দিনের সংঘাতে সাফল্য অর্জন করেছে । এর জবাব দিতে গিয়ে ক্ষুরধার আক্রমণ শানান ভারতের কূটনীতিক। বলেন, "পাকিস্তানের রানওয়েগুলো যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই ছবি যদি পাক প্রধানমন্ত্রীর মতে বিজয় হয়, তাহলে পাকিস্তান তা নিয়ে আনন্দ করুক !" রাষ্ট্রপুঞ্জে শাহবাজ শরিফ তাঁর ভাষণে কাশ্মীর ইস্যু টেনে বলেন, "আমি কাশ্মীরিদের আশ্বস্ত করতে চাই যে আমি তাদের সঙ্গে আছি, পাকিস্তান তাদের সঙ্গে আছে, এবং একদিন শীঘ্রই, কাশ্মীরে ভারতের নৃশংসতার অবসান ঘটবে।" শরিফের এই মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে পাকিস্তানকে সরাসরি সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়দাতা বলে আক্রমণ করেন ভারতীয় কূটনীতিক। তিনি একেবারে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়ে বলেন, "পাকিস্তান আগাগোড়া সন্ত্রাসবাদকে মদত দিয়ে আসছে। ওদের কোনও লজ্জা নেই। বছরের পর বছর ধরে পাকিস্তানই ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিয় এসেছে। সে কথা ভোলা চলবে না।"