কংগ্রেস থেকে ভেঙে বেরিয়ে যাওয়ার  কোনও পরিকল্পনা নেই, কংগ্রেসেই থাকছেন সচিন। কিছুদিন ধরেই সচিন পায়লটের  ( Sachin Pilot )নতুন দল গড়ার গুঞ্জন প্রবল হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে।  পার্টি সূত্রে খবর, পায়লটের তাঁর ভবিষ্যত পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দলীয় হাইকমান্ডের আদেশের জন্য অপেক্ষা করবেন। দলের সহকর্মী এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী  গহলৌতের সঙ্গে পায়লটের দীর্ঘ টানাপোড়েনের দরুণই সচিনের কংগ্রেস ছাড়ার গুঞ্জন প্রবল হয়েছে। 


রাজস্থানের কংগ্রেস কর্ণধার সুখজিন্দর সিং রন্ধাওয়া ( Rajasthan Congress in-charge Sukhjinder Singh Randhawa ) একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "সচিন পায়লটের দল ছেড়ে যাওয়ার বা ভাঙার কোনো ইচ্ছা নেই"।  রাজস্থানে নির্বাচনের জন্য দল প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং মরুরাজ্যেও হাতশিবির চায় কর্ণাটকের সাফল্যের হাসি ধরে রাখতে।  


আগামী ১১ জুন, রবিবার বাবা রাজেশ পায়লটের মৃত্যুদিন। রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, হাতশিবির ছেড়ে এদিনই নতুন দল গড়ার কথা ঘোষণা করতে পারেন পায়লট ! যদিও মঙ্গলবার কংগ্রেসের তরফে যাবতীয় জল্পনায় জল ঢালা হয়েছে।  এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিংহ সূরজেওয়ালা বলেন, ‘‘সচিন আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। কংগ্রেসেই থাকবেন তিনি।’’ কংগ্রেসের দাবি, পায়লট আগেও পৃথক দল গঠন করতে চাননি এবং এখনও চান না। 


 সুখজিন্দর সিং রন্ধাওয়া জানান, “অশোক গহলৌত এবং সচিন পায়লটের ইস্যুতে চার ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়েছে। দুজনের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে মীমাংসা-সূত্র বের করা হয়েছে। দুজনের মধ্যে বিরোধের  ৯০ শতাংশই মিটে গিয়েছে। দুজনের মধ্যে কোনও বোঝাপড়া না হলে তাঁরা সেদিন দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমের সামনে একসঙ্গে বসতেন না” । 


২০১৮ সালে রাজস্থানে দল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সচিন পায়লট ও অশোক গহলৌতের মধ্যে টানাপোড়েন চলতে থাকে। ২০২০ সালে দুজনের মধ্যে চিড় চওড়া হয়।  সে সময় রাজস্থানের তিনি তাঁর অনুগামী ১৯ জন বিধায়ককে নিয়ে দিল্লির কাছে একটি রিসর্টে গিয়ে উঠেছিলেন। সেই সময় কংগ্রেসের অন্দরে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, যদি বিজেপির সাহায্য নিয়ে সচিন রাজস্থানে হাত-সরকার ফেলে দেন ! তবে তা ঘটেনি। কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের হস্তক্ষেপে কিছুদিনের মধ্যেই বিদ্রোহে ইতি টানেন সচিন পাইলট। সেই সময় তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। কিন্তু অশোক-সচিন সম্পর্কে শীতলতা কাটেনি। 


হাস শিবির সূত্রে খবর,  সচিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা করবেন। অপেক্ষা করবেন রাহুল গাঁধীর তরফে কোনও বার্তা আসে কি না।