মুম্বই: গোটা বিশ্ব যাঁর কাছ থেকে ক্রিকেট শিখতে উৎসুক, সেই সচিন তেণ্ডুলকর নাকি ক্রিকেটের ব্যাকরণ শেখার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের এক ট্যাক্সি চালকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আজ সচিনের ৪৭ তম জন্মদিন- জেনে নিন ১৮ বছর আগের এই না জানা গল্প।


ভারত সে সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ট্যুরে গিয়েছে। ১১ এপ্রিল গায়ানায় শুরু হয় প্রথম টেস্ট ম্যাচ।  প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ চাপিয়ে দেয় ৫০১ রানের বিশাল লক্ষ্য। জবাবে ভারত করে ৭ উইকেটে ৩৯৫, সচিন করেন ৭৯। বৃষ্টির জন্য শেষ দিন একটি বলও হতে পারেনি। পরের টেস্ট পোর্ট অফ স্পেনে, ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার  কথা। ১৭ তারিখ প্র্যাকটিস সেশনের পর সচিন ঠিক করেন, বাইরে কোথাও দুপুরের খাবার খাবেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উইকেট কিপার দীপ দাশগুপ্ত ও ওপেনার শিবসুন্দর দাস।  হোটেল থেকে বেরিয়ে তাঁরা ট্যাক্সি ধরেন, সচিন বসেন চালকের পাশের আসনে, পিছনে দীপ ও শিবসুন্দর।

দীপ জানিয়েছেন, সচিন চালককে জিজ্ঞেস করেন, এখানকার জনপ্রিয় খেলা কী? জবাব আসে, ক্রিকেট। সচিন বোঝেন, ওই চালক তাঁকে চেনেননি। তিনি বলেন, আমি আমেরিকা থেকে এসেছি, বেসবল তো জানি কিন্তু ক্রিকেটের নিয়মকানুন জানি না। শুনে ওই চালক তুমুল গুরুত্ব দিয়ে তাঁকে ক্রিকেটের অ-আ-ক-খ শেখাতে থাকেন। কে ব্যাটসম্য়ান, কে বোলার, ফিল্ডার কারা হন- সব কিছু। সচিনও বাধ্য ছাত্রের মত সব শুনতে থাকেন। এমনকী, সচিন এক সময় এও জানতে চান, এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ক্রিকেটার কে? তৎক্ষণাৎ জবাবে ওই চালক বলেন খোদ সচিন ও ব্রায়ান লারার নাম।

সচিন জানিয়েছেন, কথা বলার সময় চালক বাইরের দিকে তাকিয়েছিলেন, তাই তাঁকে চিনতে পারেননি। শিবসুন্দর দাস তাঁর পরিচয় জানাতে চেয়েছিলেন কিন্তু সচিন বারণ করেন তাঁকে। দীপ জানিয়েছেন, মিনিটকুড়ির যাত্রা শেষে সচিন অন্যদিকে তাকিয়েই ট্যাক্সিভাড়া মিটিয়ে দেন, এক লাফে বেরিয়ে যান ট্যাক্সি থেকে। তারপর হাসিতে ফেটে পড়েন ৩ ক্রিকেটার।

পোর্ট অফ স্পেনে দারুণ ব্যাট করেছিলেন সচিন। প্রথম ইনিংসে ২৬০ বলে করেন ১১৭ রান। তাঁর রানের সাহায্যে প্রথম ইনিংসে ৩৩৯ রান করে ভারত। সেই টেস্টে ক্যারিবীয়দের হারিয়ে দেয় ৩৭ রানে।