আশাবুল হোসেন, কলকাতা: আজ কলকাতায় পৌঁছলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। কলকাতায় সমাজবাদী পার্টির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক রয়েছে। বিকেল ৫ টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে যাবেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আলোচনা হতে পারে জাতীয় রাজনীতি নিয়ে। 


বিজেপিকে আক্রমণ:
কলকাতায় নেমেই সিবিআই-ইডির অপব্যবহারের অভিযোগে বিজেপিকে আক্রমণ অখিলেশ যাদবের। অখিলেশ বলেন, 'বাংলায় তৃণমূলের কম নেতা জেলে আছেন। উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির বহু বিধায়ক, নেতা মিথ্যে মামলায় জেলে আছেন। বিজেপি যেই দলকে ভয় পায়, সেই দলের নেতাদের বাড়িতেই সিবিআই-ইডি পাঠায়।' কলকাতায় নেমে মন্তব্য অখিলেশ যাদবের। তিনি আরও বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। কী কথা হবে জানি না। কিন্তু দেখা তো হবেই।'


বিজেপির কটাক্ষ:
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'একসময় তিনি এসেছেন কলকাতায়। দিদির হাতে মাছভাত খেয়ে গিয়েছেন। একসময় দিদি লখনউয়ে গিয়েছেন ওঁর সঙ্গে দেখা করতে। এবার তিনি এসেছেন দিদির সঙ্গে দেখা করতে। ঘটনাটা একই হাম সব চোর হ্যায়। কে কত দুর্নীতি করেছে। বলছে ইডি-সিবিআই বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। যাঁর বাড়ি যাচ্ছে তাঁরা সাধুপুরুষ নাকি। কোর্ট বলছে করতে। তাঁরা যদি ভাল হন কোর্টে যান। তথ্যপ্রমাণ দিন। কিন্তু তা তাঁরা করছেন না। উল্টোপাল্টা বলছে। সাধারণ মানুষ জানে এরা কী করেছে।'

সিপিএমের তোপ:
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'এটা ঠিক যে সারা দেশে বিরোধী বহু নেতা জেলে রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ রয়েছে, সারা দেশে রয়েছেন। বিজেপি নেতাদের যেন সাতখুন মাফ। এই রাজ্যে দুর্নীতি তো রয়েছে। এখানে নেতারা কিন্তু ধরা পড়ছে না। কারণ তাঁরা ম্যানেজ করেছে। বিজেপি আদর্শগত ভাবে ভয় পায় কমিউনিস্টদের। ত্রিপুরায় কমিউনিস্টদের সঙ্গে লড়াই হয়েছে। সেখানে এমন বেআইনি সম্পদ নিয়ে কাওকে ধরতে পারেনি বিজেপি। কারণ সেই সুযোগ নেই। তৃণমূলকে ধরেছে বেআইনি সম্পদ নিয়ে। তাও নেতারা ম্যানেজ করে ছাড় পাচ্ছে। ৮ বছর হয়ে গেল চিটফান্ড কাণ্ডে চার্জশিট দিতে পারেনি ইডি-সিবিআই। এটাও খেয়াল রাখতে হবে।'     


এদিনই তৃণমূলের বৈঠক:
এদিনই কালীঘাটে বৈঠক ডেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্নীতির অভিযোগ, তা নিয়ে বিরোধীদের টানা আন্দোলন এবং সাগরদিঘির হারের আবহে, এই বৈঠক হতে চলেছে। সেখানে কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তা নিয়ে নানা জল্পনা ঘুরপাক খাচ্ছে। সূত্রের খবর, দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের পুরোপুরি ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত থেকে বিরোধীদের আক্রমণের মোকাবিলা করতে বিশেষ কোনও রণকৌশল নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। সংখ্য়ালঘু ভোট ফেরাতে কি বিশেষ কোনও স্ট্র্য়াটেজি নেওয়া হবে? বাম-কংগ্রেস জোটে চিড় ধরাতে নেওয়া হবে নতুন কোনও রণকৌশল? তৃণমূল সূত্রে দাবি,বৈঠকে ফের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের বার্তা দিতে পারেন তৃণমূলনেত্রী। 


আরও পড়ুন: আজ ধস নামতে পারে টিসিএস-এর শেয়ারে ! হঠাৎ ঘটেছে এই ঘটনা