পার্থপ্রতিম ঘোষ, ব্রতদীপ ভট্টাচার্য , সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : সন্দেশখালিকাণ্ডে ( Sandeshkhali ) প্রথম থেকেই প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। বারবার পুলিশের ওপর অনাস্থা প্রকাশ করেছেন আন্দোলনরত গ্রামের মহিলারা। আবারও পুলিশের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনলেন সন্দেশখালির এক মহিলা। তাঁর দাবি, পুলিশের একাংশ নাকি জানতে চেয়েছেন, যৌন নির্যাতন ( Physical Assault ) হয়ে থাকলে, তার মেডিক্য়াল রিপোর্ট কোথায়? যদিও পুলিশ সূত্রে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন সন্দেশখালির বাসিন্দা। তাঁর সেই চাঞ্চল্য়কর অভিযোগে কার্যত তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। ঠিক কী দাবি করেন ? তাঁর দাবি যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করা হলে, এক পুলিশ অফিসার তাঁর কাছ থেকে মেডিক্যাল রিপোর্ট চেয়েছেন। ওই পুলিশ আধিকারিককে নিয়ে মহিলার দাবি ' উনি বললেন যে মেডিক্য়াল রিপোর্ট দিন আপনাদের সাথে যে এরকম হয়েছে। যার সাথে হয়েছে তাঁকে নিয়ে আসুন। তাঁকে আমাদের সামনে বের করুন। তাঁর একজন স্বামী আছে। তাঁর হয়তো ছোট্ট ছোট্ট দুটো বাচ্চা আছে। তারা একদিন বড় হবে। সে যখন সমাজের মুখে মিডিয়ার মুখে এত কথার পরে সে তাঁর বাচ্চার সামনে গিয়ে দাঁড়াবে কী করে। তাঁর সঙ্গে তো এগুলো হয়েছে। সে কি কোনও দিন প্রকাশ্য়ে সামনে বেরিয়ে আসতে পারবে? '
ওই মহিলার আরও অভিযোগ, ' কোনও দোষী কি দোষ করে আমাদের হাতে মেডিক্য়াল রিপোর্ট গুজে দিয়ে গেছে যে আপনারা গুছিয়ে রাখুন পরবর্তীকালে যখন কোনও কিছু হবে দেখাবেন।'
পাল্টা পুলিশের দাবি, কোনও মেডিক্যাল রিপোর্ট চাওয়া হয়নি। অভিযোগকারীদের থেকে শুধু নির্যাতিতাদের হদিশ জানতে চাওয়া হয়েছে।
আর এই উত্তপ্ত আবহেই আন্দোলনরত এই মহিলাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য় করলেন কোরাকাঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও তৃণমূলনেত্রী মনিকা রায়। 'যে মেয়েরা বলছে সেই মেয়েরাই মানে শিবুদার থেকে অনেক কিছু পরিষেবা কারওর বাবা অসুস্থ হলে টাকা নিয়েছে, কারওর ঘর বাঁধতে পারেনি টাকা নিয়েছে। আমার চোখের সামনে দেখা টাকা দিয়েছে শিবুদা তাঁদেরকে।'
এরই মধ্যে সন্দেশখালিতে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে দাবি করে, একেবারে বিবৃতি দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। কমিশনের প্রতিনিধিরা মহিলাদের ধর্ষণের কোনও অভিযোগ পাননি বলে সম্প্রতি এক সোশাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করে রাজ্য় পুলিশ। তারপর পাল্টা বিবৃতি দিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশন দাবি করে, নির্যাতিতারা শারীরিক এবং যৌন নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন, যা সংগঠিত করেছেন পুলিশ এবং তৃণমূলের সদস্য়রা।
আরও পড়ুন :
আবারও নামল পারদ? ফেব্রুয়ারির শেষে খেল দেখাবে শীত?