মুম্বই: প্রথম কোরিওগ্রাফি ১৯৬৩-র দিল হি তো হ্যায় ছবির নিগাহেঁ মিলানে কো জি চাহতা হ্যায় গানে। বয়স তখন ১৪। তারপর থেকে আর ফিরে তাকাননি সরোজ খান। ৩টি জাতীয় পুরস্কার সহ বহু সম্মান এসেছে তাঁর ঝুলিতে। কিন্তু এই সরোজই শেষ দিকে কাজ পাচ্ছিলেন না। এক সাক্ষাৎকারে বলেও ছিলেন সে কথা।


গত বছর দিয়েছিলেন ওই সাক্ষাৎকার। সেখানে তিনি বলেন, হাতে আর ছবির অফার নেই। তাঁর কথা শুনে নিজের কোনও ছবিতে তাঁকে কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সলমন খান। সরোজ জানান, একদিন দেখা হলে সলমন তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, কী করছেন তখন। তিনি রাখঢাক না করে জানান, হাতে কোনও কাজ নেই, অল্পবয়সী অভিনেত্রীদের ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্য শেখাচ্ছেন। শুনে সলমন বলেন, আমার সঙ্গে কাজ করুন। সলমন কথা দিলে কথা রাখেন, তাই সরোজের বিশ্বাস হয়েছিল, এবার কাজ পাবেন তিনি।

১৯৮৮-তে মুক্তি পাওয়া তেজাব সরোজকে রাতারাতি বলিউডে বিখ্যাত করে দেয়। তিনি বলেছিলেন, সে সময় এত জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন, নায়িকারা তাঁকে পাওয়ার জন্য নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করতেন। এখন আর কেউ তাঁকে চায় না। তাঁর নাচে খুব শার্প কিছু মুভমেন্ট থাকে, আজকের নায়িকাদের পক্ষে সে সব শক্ত বলে মনে হয়। কোনও প্রথম সারির নায়িকা খোলাখুলি তাঁদের অনিচ্ছার কথা জানাননি কিন্তু হাতে অফার না থাকায় সরোজ ব্যাপারটা বুঝতে পারছিলেন। তিনি নিজেই জানান সে কথা।

গত বছর কলঙ্ক ছবিতে মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে কলঙ্ক ছবির তবাহ হো গ্যয়ে গানে কাজ করেন সরোজ। সেটাই তাঁর শেষ কাজ। তেজাব-এ তাঁর কোরিওগ্রাফি করা এক দো তিন গানে নেচে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেছিলেন মাধুরী, তাঁর সঙ্গে সরোজও। পুরনো সেই মাধুরী-সরোজ ম্যাজিক অব্যাহত রইল শেষ ছবিতেও।