মুম্বই : 'কৃষি ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করুন'। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে এই আবেদন জানাতে চলেছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। জরুরি অবস্থার ৪৭ তম বর্ষ এবং কৃষক আন্দোলনের সাত মাস পূর্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির মধ্যস্থতা দাবি করা হবে বলে জানান কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত অন্যতম এক নেতা।
সর্ব ভারতীয় কিষাণ সভার সভাপতি এবং এসকেএম নেতা অশোক ধাওয়ালে বলেন, আমরা ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাষ্ট্রপতিকে একটি স্মারকলিপি পাঠাচ্ছি। তাঁকে আমাদের কষ্ট এবং ক্ষোভের কথা জানাব। কৃষি এবং গণতন্ত্রকে রক্ষা করার আবেদন জানাব।
স্মারকলিপিতে রাষ্ট্রপতিকে বলা হবে, ভারত যখন স্বাধীন হয়েছিল, তখন আমরা ৩৩ কোটি মানুষের খাবার জোগাড় করতাম। সেই একই পরিমাণ জমিতে এখন আমরা ১৪০ কোটি মানুষের খাবার জোগাড় করি। করোনা অতিমারির কারণে যখন অন্যান্য সেক্টরে হতাশা দেখা দিয়েছে, কৃষিক্ষেত্রে আমরা রেকর্ড উৎপাদনের মুখ দেখেছি।
কিন্তু, দেশকে এই পরিষেবা দেওয়ার পরিবর্তে, "ভারত সরকার তিনটি কৃষক বিরোধী আইন চাপিয়ে দিয়েছে।" যা আমাদের কৃষি ব্যবস্থার পাশাপাশি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেবে। তাঁদের হাত থেকে কৃষিকে ছিনিয়ে নিয়ে বড় কর্পোরেটরদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে স্মারকলিপিতে আশঙ্কাপ্রকাশ করা হয়েছে।
বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপাল এবং অন্য চ্যানেলের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে ওই স্মারকলিপি পাঠানো হবে। তাতে তিনটি কৃষি আইনকে 'অগণতান্ত্রিক' বলা হয়েছে। যা কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা না করেই অর্ডিন্যান্স আকারে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আলোচনার জন্য কমিটির কাছে না পাঠিয়েই সরাসরি সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে।
ধাওয়ালের সংযোজন, সংবিধানের প্রথম অভিভাবক হওয়ায়, কৃষকরা আশা করছেন, রাষ্ট্রপতি এরকম অসাংবিধানিক এবং অগণতান্ত্রিক কৃষক-বিরোধী আইনে সম্মতি দেবেন না। স্মারকলিপিতে আরও দাবি করা হয়েছে, গত ৩০ বছরে ৪ লক্ষর বেশি কৃষক আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কঠোর পরিশ্রমের পরিবর্তে ন্যায়বিচার দাবি করছেন বলে জানিয়েছেন।