কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court on Electoral Bond) নির্দেশের পরে অবশেষে সামনে এল নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond List) তথ্য। পাতার পর পাতা তথ্যের মধ্যে কোটি কোটি টাকার হিসেবে। কোন রাজনৈতিক দলের কত অনুদান?


প্রকাশ্য়ে আসা তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bonds Data) মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অনুদান পেয়েছে বিজেপি (BJP get Electoral Bonds)। যার আর্থিক মূল্য ৬ হাজার ৬০ কোটি টাকা। গোটা নির্বাচনী বন্ডের মধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছে ৪৭.৫ শতাংশ অনুদান।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC Electoral Bonds Data)। আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্য়মে সবচেয়ে বেশি টাকা পেয়েছে তৃণমূল। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তৃণমূলের প্রাপ্তি ১ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস। নির্বাচনী বন্ড থেকে এই জাতীয় দলের প্রাপ্তি  ১ হাজার ৪২১ কোটি টাকা।
চতুর্থ স্থানে রয়েছে বিআরএস। নির্বাচনী বন্ড থেকে এই দলের প্রাপ্তি ১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা
পঞ্চম স্থানে নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি, বন্ডে প্রাপ্তি ৭৭৫ কোটি টাকা
ষষ্ঠ স্থানে ডিএমকে, বন্ডে প্রাপ্তি ৬৩৯ কোটি টাকা


কারা টাকা দিয়েছে?
প্রকাশ্যে আসা তথ্য অনুযায়ী অসংখ্য সংস্থা নির্বাচনী বন্ডের (SBI Electoral Bond) মাধ্যমে অনুদান দিয়েছে। টাকার মূল্যের নিরিখে তালিকা করলে সবচেয়ে বেশি অনুদান দিয়েছে ফিউচার গেমিং অ্য়ান্ড হোটেল সার্ভিসেস। তালিকায় সম্ভবত তারপরেই রয়েছে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্য়ান্ড ইনফ্রাস্টাকচার লিমিটেড (MEIL)। নির্বাচনী অনুদান দেওয়ার তালিকায় রয়েছে ভারতী এয়ারটেল, আইটিসি, বেদান্ত। রয়েছে ফিনোলেক্স কেবলস, এডেলওয়াইস ফিন্য়ান্স লিমিটেড, জিন্দাল পলি ফিল্মস, জিন্দাল স্টিল। তালিকায় জে কে সিমেন্ট, বাজাজ ফিন্য়ান্স, ডিএলএফ, স্পাইসজেট, মুথুট ফিন্য়ান্স। তালিকায় রয়েছে এবিসি ইন্ডিয়া লিমিটেড, এসেল মাইনিং, গ্রাসিম ইন্ডাস্ট্রিজ, পিরামল এন্টারপ্রাইজ, সানফার্মা ল্য়াবরেটরিজ লিমিটেড, কেভেন্টার ফুডপার্ক ইনফ্রা লিমিটেড, বেদান্ত লিমিটেড, বাজাজ অটো, বাজাজ ফিনান্স, অম্বুজা হাইজিং অ্যান্ড আর্বান ইনফ্রাস্ট্রাকচার, হলদিয়া এনার্জি লিমিটেড, ফিলিপস কার্বন ব্ল্যাক লিমিটেড, টরেন্ট পাওয়ার, ড. রেড্ডিজ ল্যাবরেটরিজ, শ্রী সিমেন্ট, সিপলা, আল্ট্রাটেক সিমেন্ট, ডিএলএফ, শ্যাম স্টিল, জে কে সিমেন্ট- সহ বহু সংস্থা।


বন্ডে কোন দলকে কোন সংস্থা কত টাকা (Electoral Bonds Amount) দিয়েছে? সেই তথ্য প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ক্রমিক নম্বর প্রকাশ করতে এসবিআইকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য ওয়েবসাইট থেকে তুলে নেওয়ার আর্জি নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশনের সেই আর্জি মানল সুপ্রিম কোর্ট। তার আগে নির্বাচনী বন্ডের তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে আপলোড করে কমিশন। নির্বাচনী বন্ডের ক্রেতা, বন্ড বিক্রির তারিখ ও বন্ডের মূল্য়ের তথ্য আপলোড করা হয় ২০১৯ থেকে জানুয়ারি, ২০২৪ পর্যন্ত।


আরও পড়ুন:  'কর্মীদের বাঁচাতে বিজেপি থেকে দূরে গিয়েছিলাম', ফের পদ্মে ফিরে 'সাফাই' অর্জুনের