নয়াদিল্লি: অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) তৈরি সংক্রান্ত নতুন স্টেট কোঅর্ডিনেটর হিতেশ দেব শর্মার কাছে দায়িত্ব গ্রহণের আগে সোস্যাল মিডিয়ায় সাম্প্রদায়িক প্ররোচনামূলক মন্তব্য করার অভিযোগের ব্যাপারে ব্যাখ্যা চাইল সুপ্রিম কোর্ট। অসম সরকারকেও বিষয়টি খতিয়ে দেখে জবাব পেশ করতে বলেছে শীর্ষ আদালত।
প্রতীক হাজেলার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন হিতেশ। ১৯৮৯ ব্যাচের অসম সিভিল সার্ভিস অফিসার হিতেশ জানিয়েছেন, ২০১৪ থেকে ২০১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এনআরসি-র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পদে ছিলেন তিনি।
হিতেশ ফেসবুকে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে পোস্ট করেছিলেন। অভিযোগ, গত ১৩ ফেব্রুয়ারির একটি পোস্টে, যা শুধুমাত্র তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের কাছেই সীমিত ছিল, তিনি লেখেন, এনআরসি-তে লাখ লাখ বাংলাদেশি আছে। ২০১৭-র ১৫ নভেম্বরের একটি পোস্টে তিনি ‘গত সাত দশকের সংখ্যালঘু তোষণ নীতি ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞা বদলে দিয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেছেন।
এহেন হিতেশ এনআরসি কোঅর্ডিনেটর পদে আসীন হওয়ার পর বরপেটার কংগ্রেস সাংসদ আবদুল খালেক অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে চিঠি লিখে ওই ফেসবুক পোস্টের উল্লেখ করে দাবি করেন, উনি পক্ষপাতহীন নন, বিশ্বাসযোগ্যও নন। হিতেশকে হাজেলার পদে বসানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি করেন খালেক।
এনআরসি দপ্তরের একটি সূত্রের খবর, হিতেশ প্রথম দফায় ব্যক্তিগত কারণের উল্লেখ করে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ আগস্ট অসমে যে চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জী প্রকাশিত হয়, তাতে ১৯,০৬৬৫৭ জনের নাম বাদ পড়েছে।