মুম্বই: ছোট পর্দার পরিচিত মুখ ও অল্পদিন আগে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া কুশল পাঞ্জাবি সম্পর্কে মুখ খুললেন তাঁর স্ত্রী অড্রে ডোলহেন। তাঁর দাবি, কুশলের জন্যই তাঁদের সম্পর্ক শেষ হয়ে গিয়েছিল, বাবা হিসেবেও কুশল দায়িত্বজ্ঞানহীন ছিলেন।


কুশলের পরিবার তো বটেই, অন্যান্য মহল থেকেও অভিযোগ উঠেছে, অড্রের ব্যবহারের জন্য নিজেকে শেষ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন কুশল। ২০১৫-য় তাঁদের বিয়ে হয়, একটি ছেলেও রয়েছে। কিন্তু কুশলের পরিবারের অভিযোগ, ডিভোর্সের জন্য বিশাল অঙ্কের টাকা দাবি করেছিলেন অড্রে, তা দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। অড্রে অবশ্য বলছেন, তাঁদের বিয়েতে সমস্যা ছিল ঠিক কিন্তু সম্পর্ক পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি। ছেলে কিয়ানকে বাবার সঙ্গে কথা বলতে তিনি কখনও আটকাননি। কুশলই পরিবার নিয়ে সিরিয়াস ছিলেন না।


অড্রে পেশায় একটি চিনা জাহাজ সংস্থার সিসিও। তাঁর বক্তব্য, তিনি চেয়েছিলেন পরিবার নিয়ে সাংহাইয়ে গিয়ে থাকতে কিন্তু কুশল একেবারেই আগ্রহ দেখাননি। সংস্থার সঙ্গে তাঁর এ ব্যাপারে চুক্তি ছিল কিন্তু কুশল তা বোঝার চেষ্টাই করেননি। ফলে তিনি ছেলেকে নিয়ে সাংহাই চলে যান। তিনিই স্বামীর খরচ জোগাচ্ছিলেন। বাবা গুরুত্ব দেন না বলে কিয়ানও তাঁর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁর একেবারেই মাথাব্যথা ছিল না। তিনি কুশলের সঙ্গে সম্পর্ক বাঁচানোর সব রকম চেষ্টা করেন কিন্তু কুশলই অনাগ্রহী ছিলেন। কেন তাঁকে এই আত্মহত্যার জন্য দায়ী করা হচ্ছে তিনি জানেন না, বড়দিনটা ছেলের সঙ্গে ফ্রান্সে কাটাচ্ছিলেন তিনি।

কুশলের বাবা মা বলেছেন, অড্রে তাঁদের ছেলেকে মারাত্মকরকম উত্যক্ত করছিলেন, ডিভোর্সের জন্য বিরাট অঙ্ক দাবি করেন। তিন বছরের ছেলেকে কেড়ে নিয়ে যান তাঁর কাছ থেকে, মানসিকভাবে তা কুশলকে ছিন্নভিন্ন করে দেয়। এরপরই তাঁর আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত।

কুশলের আত্মহত্যার ব্যাপারে অড্রেকে সমন পাঠিয়েছে মুম্বই পুলিশ। দিনকয়েক আগে মুম্বইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে কুশল পাঞ্জাবির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানায়, নাইলনের দড়ি দিয়ে ফ্যান থেকে ঝুলে পড়েন তিনি।