নয়াদিল্লি: ঋতুকালীন ছুটির বিষয়ে হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই ছুটির বিষয়ে কেন্দ্রকে নীতি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্যগুলি সহ সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে আলোচনা করতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট?
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ স্পষ্ট করেন এটা সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন বিষয় নয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই সংক্রান্ত কারণে মহিলাদের ছুটি মঞ্জুর করার বিষয়ে কোনও রায় দিলে তার বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া হতে পারে। সামগ্রিকভাবে তা মহিলাদের বিরুদ্ধেই যেতে পারে। কোনও সংস্থায় নিয়োগের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়তে পারেন মহিলারা।
এদিনের শুনানিতে শীর্ষ আদালত প্রশ্ন করে, এই ছুটি কীভাবে আরও বেশি মহিলাকে কাজে যোগ দিতে উৎসাহিত করবে? এই ধরনের ছুটি মহিলাদের ক্ষেত্রে কাজ থেকে দূরে রাখার বার্তা দেয়। আদালত কোনওভাবেই তা চায় না। এই বিষয়ে একমাত্র সরকার নীতি গ্রহণ করতে পারে। এটা আদালতের হস্তক্ষেপ করার মতো বিষয় নয়। মামলকারী আদালতে জানান, এই বিষয়ে ২০২৩ সালের মে মাসে কেন্দ্রের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। এদিন আদালত আরও জানিয়েছে, এর সঙ্গে রাজ্যের একাধিক বিষয় জড়িত।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসেও একই মর্মে পিটিশন জমা দাখিল করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। যেখানে বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া সহ মহিলা কর্মীদের ঋতুকালীন ছুটি বাধ্যতামূলক করার জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হোক। সেই সময়ও একই অবস্থান ছিল সুপ্রিম কোর্টের। বর্তমানে দেশের দুই রাজ্যে ঋতুকালীন ছুটি রয়েছে। বিহারে দুই দিনে ঋতুকালীন ছুটি দেওয়া হয়। কেরলে তিন দিন ঋতুকালীন ছুটি দেওয়া হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।