অপারেশন সিঁদুরে অংশ নেওয়া মানেই কি অপরাধ মাফ? ,সুপ্রিম কোর্টে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়লেন পণের জন্য অত্যাচার ও স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত এক সেনা আধিকারিক।  বহু দিন ধরেই পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে চলছিল মামলাটি। সেখানে আগেই ধাক্কা খেয়েছিলেন ওই  ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডো। তারপর হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। সেখানেও ভর্ৎসিতই হতেন তিনি। 

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, পণের জন্য অত্যাচার ও স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সেনা আধিকারিক আত্মসমর্পণ থেকে অব্যাহতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ওই সেনা অফিসারের আবেদন  খারিজ করে দেয় বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়া এবং কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চ। সেই সঙ্গে ওই সেনা আধিকারিককে দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইঞা এবং বিনোদ চন্দ্রনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট ওই ব্যক্তিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডে। আদালতে  স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেন। আবেদন করেন, সুপ্রিম কোর্টে মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে যেন আত্মসমর্পণ থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়। তবে এদিন বিচারপতিরা তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন। 

আদালত জানায়, আত্মসমর্পণ থেকে অব্যাহতি চেয়ে কেবলমাত্র কম গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রেই দেওয়া হয়। সেনা আধিকারিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে , সে-ক্ষেত্রে এটা কখনওই সম্ভব নয়। সেদিন আদালতে সওয়াল জবাবের সময় , ওই সেনা আধিকারিকের আইনজীবি যুক্তি দেন, তিনি অপারেশন সিঁদুরে অংশ নিয়েছিলেন। ভারতীয় সেনার সঙ্গে তিনি গত ২০ বছর ধরে যুক্ত।  তবে বিচারপতি ভুঁইঞা সেই আবেদনে কর্ণপাত করেনি। বরং, শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ' অপারেশন সিন্দুর'এ অংশগ্রহণ করেছেন বলে,কোনও সেনা অফিসার গার্হস্থ্য হিংসার মামলা থেকে মুক্তি দেওয়া যায় না। আদালতে ওই সেনা আধিকারিকের আইনজীবী, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে 'ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডো' হিসেবে তাঁর ভূমিকা তুলে ধরার চেষ্টা করেন। আদালত সব শুনে জানায়, 'অপারেশন সিন্দুর'-এ অংশ নিয়েছিলেন বলে এমন গুরুতর অপরাধের দায় থেকে তিনি মুক্ত হতে পারেন না। 

সাড়া দেননি। তিনি বলেন, 'এসব আপনাকে বাড়িতে নৃশংস কাজ করার জন্য ছাড়পত্র দেয় না। বরং আপনি কতটা শারীরিকভাবে সুস্থ, কীভাবে একা স্ত্রীকে হত্যা করতে করেছেন, শ্বাসরোধ করেছেন, তার প্রমাণ দেয়।' সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ,  অপারেশন সিন্দুরে অংশ নিলে এই ধরনের অপরাধ থেকে দায়মুক্ত হওয়া যায় না।