কলকাতা: করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি চিকিৎসায় সাফল্যের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা ক্লোনড অ্যান্টিবডির একটি ইঞ্জেকশন বার করেছেন, যা করোনা সংক্রমণের প্রাথমিত পর্যায়ে থাকা রোগীদের ওপর ভাল কাজ করতে পারে। ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাসট্রাজেনেকাকে উদ্ধৃত করে এক বিদেশি সংবাদপত্র এই দাবি করেছে।


বিশ্বের ৬৯ লক্ষের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, মৃতের সংখ্যা ৪ লাখের বেশি। বিজ্ঞানীরা যে পরীক্ষানিরীক্ষা করছেন তা একটি ইঞ্জেকশনে দুটি অ্যান্টিবডির মিশ্রণ। এর ফলে একটি অ্যান্টিবডির বিরুদ্ধে যে প্রতিরোধ গড়ে ওঠে, দুটি অ্যান্টিবডির বিরুদ্ধে ততটা গড়ে উঠবে না। জানিয়েছেন অ্যাসট্রাজেনেকার চিফ এক্সিকিউটিভ পাসকাল সরিওট।

মূলত বয়স্ক ও বেশি অসুস্থদের ওপর এই অ্যান্টিবডি থেরাপি আগে হবে, যাঁদের শরীরে টিকাগ্রহণের যথেষ্ট সামর্থ্য নেই। তবে টিকার তুলনায় এই অ্যান্টিবডি চিকিৎসা বেশি খরচসাপেক্ষ বলে সরিওট জানিয়েছেন।

কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে অ্যাসট্রাজেনেকা। ঠিক হয়েছে, ৩০ কোটি করোনা টিকার ডোজ তৈরি করবে তারা। গোটা বিশ্বে মিলবে এই টিকা, এটি তৈরি করছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউট। শিম্পাঞ্জির শরীর থেকে একটি জীবাণু নিয়ে জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে টিকা তৈরির কাজ। শরৎকালের মধ্যে এই টিকা বাজারে এসে যাবে বলে ধারণা। এর ট্রায়াল ব্রাজিলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বলে খবর।