কলকাতা: ক্রমেই বেড়ে চলা ভ্যাকসিন-সঙ্কট মেটাতে বাজারে আসছে ভারতে উৎপাদিত দ্বিতীয় ভ্যাকসিন। চলতি বছরের অগাস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে শুরু হবে উৎপাদন ও মজুত করার কাজ শুরু হবে। ভ্যাকসিন উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ৩০ কোটি।
জানা গিয়েছে, কানাডার প্রভিডেন্স থেরাপিউটিক নামে একটি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এই নতুন ভ্যাকসিন উৎপাদব করবে হায়দরাবাদের সংস্থা বায়োলজিক্যাল ই। কোভিশিল্ড অথবা কোভ্যাক্সিনের মতো মৃত অথবা অর্ধমৃত ভাইরাসের দেহ থেকে নয়, সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রযুক্তিতে ভাইরাসের mRNA-থেকে তৈরি হবে এই নতুন করোনা ভ্যাকসিন। কানাডায় এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। নতুন ভ্যাকসিনের জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা অগ্রিম দেবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
মারণ ভাইরাস থেকে বাঁচতে, ভ্যাকসিনের জন্য ভিড় বাড়ছে স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে হাসপাতালগুলিতে। কোথাও দ্বিতীয় ডোজ মিললেও, মিলছে না প্রথম ডোজ। কোথাও আবার টিকা না পেয়ে বিশৃঙ্খলার ছবি। কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিনের জন্য কাকভোর থেকে লাইন দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তারপরেও কারও ভাগ্যে কুপন জুটছে, কাউকে ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। এই ছবি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এই সঙ্কটকালে এবার আশার আলো নতুন টিকা। বাজারে আসছে ভারতে উৎপাদিত দ্বিতীয় ভ্যাকসিন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। প্রাথমিকভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় স্বাস্থ্যকর্মী সহ প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের। এরপর ১ মার্চ থেকে ৬০ ঊর্ধ্ব এবং ৪৫ ঊর্ধ্ব যাঁদের কো-মর্বিডিটি আছে তাঁদের টিকাকরণ হয়। ৪৫ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ শুরু হয় ১ এপ্রিল। তৃতীয় দফায় টিকাকরণ শুরু হয় ১ মে। ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সিদের টিকাকরণের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। প্রথম থেকেই কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন টিকা ব্যবহারে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
এরপর ছাড়পত্র দেওয়া হয় স্পুটনিক ভিকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানায়, জুন মাসে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ৬.০৯ কোটি ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে। স্বাস্থ্যকর্মী, অতিমারি পরিস্থিতিতে সামনের সারিতে কাজ করছেন যাঁরা, ৪৫ বছরের বেশি বয়সিদের বিনামূল্যে টিকাকরণের জন্য ভারত সরকারের তরফে এই পরিমাণ ভ্যাকসিন পাঠানো হবে।৫.৮৬ কোটি ভ্যাকসিন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি এবং বেসরকারি হাসপাতাল সরাসরি সংগ্রহ করতে পারবে বলেও জানানো হয়।