মুম্বই: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) তল্লাশির সময় তাঁর কাছ থেকে পাকিস্তানি ক্রেডিট কার্ড উদ্ধার হয়েছে বলে ট্যুইট করায় কঙ্গনা রানাউতের নামে বিশেষ স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দিলেন শিবসেনা নেতা প্রতাপ সরনায়েক। বলিউড অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুখ্যসচিবকে তাঁর নোটিসটি প্রিভিলেজ কমিটিতে পাঠাতে বলেছেন সরনায়েক। সম্প্রতি তাঁর কাছে পাকিস্তানের ক্রেডিট কার্ড থাকার দাবি করেন কঙ্গনা।
গত সপ্তাহেই বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় সরনায়েককে ৬ ঘন্টার ওপর জেরা করে ইডি। গত মাসে তাঁর সম্পত্তিরও তল্লাসি করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।
টপস গ্রুপস নামে একটি সংস্থার প্রাক্তন কর্মী রমেশ আয়ারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মামলা রুজু হয়। রমেশের দাবি, ২০১৪-য় ৩৫০-৫০০ সিকিউরিটি গার্ড সরবরাহের জন্য মুম্বই মেট্রপলিটান রিজিয়ন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু টপস গ্রুপস চুক্তির মাত্র ৭০ শতাংশ গার্ড সাপ্লাই দেয়। মেট্রপলিটান রিজিয়ন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির দেওয়া অর্থের খানিকটা অভিযুক্ত সরনায়েকের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে পড়ে। শিবসেনা অবশ্য় সরনায়েকের বিরুদ্ধে ইডির তদন্ত, তল্লাশিকে রাজনৈতিক প্রতিশোধস্পৃহার ফল বলে দাবি করে। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে কটাক্ষ করেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহভৃত্যের মতো আচরণ করেছে। মানুষের কিন্তু বুদ্ধি-বিবেচনা আছে, তারা সবই দেখছে।
এর আগে মহারাষ্ট্র বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনে মু্ম্বইকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করায় কঙ্গনার নামে বিধান পরিষদে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব পেশ হয়েছিল। সম্প্রতি পঞ্জাবের এক আইনজীবীও তাঁকে নোটিস পাঠান রাজধানী সীমান্তে জড়ো হওয়া আন্দোলনরত কৃষকদের সমাবেশে হাজির এক বৃদ্ধাকে ভুল করে গত বছর শাহিনবাগের সিএএ-এনআরসি বিরোধী সমাবেশের সামনের সারিতে থাকা ‘শাহিনবাগের দাদি’ নামে খ্যাত বিলকিস বানো বলে দাবি করে তাঁর সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায়। কঙ্গনা কটাক্ষ করেন, ওই মহিলাকে ১০০ টাকা দিলেই পাওয়া যায়! অভিযোগ, কঙ্গনা বোঝাতে চেয়েছেন, কৃষকরা টাকা দিয়ে লোক নিয়ে এসেছেন। কঙ্গনার মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলে দিল্লি শিখ গুরুদ্বার পরিচালন কমিটিও।