নয়াদিল্লি: সরকার পরীক্ষামূলক অনুমোদনে সায় দিলেও তা মানতে পারছেন না কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারক সংস্থার চেয়ারম্যান। ভ্যাকসিনের মিক্স ডোজের সরাসরি বিরোধিতা করছেন সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কান্ডারি সাইরাস পুনাওয়ালা। তাঁর মতে, এরফলে দুই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার মধ্যে দোষারোপের পালা শুরু হবে।


সম্প্রতি করোনা রুখতে পরীক্ষামূলক মিক্স ভ্যাকসিনেশনে অনুমোদন দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার অফ ইন্ডিয়া। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের মিশ্র প্রয়োগ কতটা কার্যকর হবে, তা গবেষণা করে দেখতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহেই ককটেল ভ্যাকসিনেশনের পরীক্ষায় সায় দিয়েছিল DCGI-র টিকাকরণ নিয়ে গঠিত বিশেষ পরামর্শদাতা কমিটি। শেষে তাদের পরামর্শেই সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল।


যদিও কোভিশিল্ডের সঙ্গে কোভ্যাকসিন মেশানোয় সায় নেই পুনাওয়ালার। তাঁর মতে, এতে দুই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কোম্পানির মধ্যে একটা সমস্যা তৈরি হবে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ফল না দিলে একে অন্যের ওপর দোষারোপ করবে দুই সংস্থা। তাই দুটো ভ্যাকসিনের ককটেল করার কোনও প্রয়োজন নেই। 


গত মে মাসে উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগরে ভুলবশত ১৮ জনকে কোভিশিল্ড দেওয়ার পরিবর্তে কোভ্যাকসিন দেওয়া হয়। দেখা যায়, দ্বিতীয় টিকার জায়গায় কোভ্যাকসিন দেওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বেড়ে গিয়েছে ওই ব্যক্তিদের।সাধারণত কোনও একটি ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজ নিলে যা চোখে পড়ে না। প্রথম ভ্যাকসিনের ৬ সপ্তাহ পর কোভ্যাকসিন দিয়ে এই সুফল পাওয়া গিয়েছে।


গবেষণায় দেখা যায়, দুই ধরনের ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের শরীরে হাইপারটেনশন দেখা গিয়েছে। যদিও ইমিউনোলজির ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে মিক্সড ডোজ নেওয়া ব্যক্তিরা। আলফা, বিটা, ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে বেশি কার্যকরী মিক্সড ডোজ। একই ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিদের চেয়ে তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডির মাত্রাও অনেক বেশি। তবে এখনই এই গবেষণাকে শিরোধার্য বলছেন না গবেষকরা। তাঁদের মতে, এ বিষয়ে আরও চর্চা প্রয়োজন।