গোয়া: ধর্মীয় উৎসবে যোগ দিতে গিয়ে ভয়ঙ্কর পরিণতি। গোয়ার মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল কমপক্ষে সাতজনের। আহতের সংখ্যা ৫০-এর চেয়ে বেশি। আহতদর গোয়া মেডিক্যাল কলেজ এবং মাপুসার নর্থ গোয়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। (Goa Temple Stampede)

গোয়ার শিরগাওয়ে শ্রী লইরাই যাত্রাকে ঘিরে বিপদ নেমে আসে। শুক্রবার রাতে শ্রী দেবী লইরাই সংস্থান মন্দিরে পদপিষ্ট হন বহু। মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সওয়ন্ত আজ সকালে হাসপাতালে আহতদের দেখতে পৌঁছন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন তিনি। পদপিষ্ট হওয়ার কারণ এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। তবে কয়েকজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়াতেই এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যাচ্ছে।  স্থানীয় প্রশাসনের তরফে মৃতদের পরিচয়ও প্রকাশ করা হয়নি এখনও পর্যন্ত। তবে জানা যাচ্ছে, হাজার হাজার মানুষ মন্দিরে ভিড় করেছিলেন। গভীর রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। (Goa Stampede)

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, হাজার হাজার তীর্থযাত্রী মন্দিরে উপস্থিত হন। আগুনে খালিপায়ে হাঁটার দৃশ্য দেখতেও হাজির হন অনেকে। ভিড়ে থিকথিক করছিল চারিদিক। সেই সময় আচমকাই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। ঢালু জায়গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পর পর পড়ে যান কয়েক জন। এর পরই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দা এবং স্বেচ্ছাসেবকরা বহু মানুষকে নিরাপদে বের করে আনেন মন্দির থেকে।

গোয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব শ্রী লইরাই যাত্রা। প্রতি বছর শিরগাওয়ে দেবি লইরাইয়ের মন্দিরে ভিড় করেন কাতারে কাতারে মানুষ। এপ্রিল থেকে মে মাস ধরে চলে এই তীর্থযাত্রা। তীর্ঘযাত্রীদের মধ্যে খালিপায়ে আগুনের উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার প্রথাও রয়েছে এই উৎসবকে ঘিরে। হাজার হাজার মানুষ ওই প্রথা পালন করেন।

লইরাই দেবীর পুজো মূলত গোয়াতেই দেখা যায়, বিশেষ করে দক্ষিণ গোয়ায়। দেবী লইরাইকে শক্তি এবং উর্বরতার প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। পুনর্জন্মের পর দেবী পার্বতীই লইরাই দেবী হিসেবে আবির্ভূত হন বলে প্রচলিত রয়েছে গোয়ার লোককথায়। তাঁকে রক্ষাকর্ত্রী বলে মনে করেন স্থানীয়রা। ওই মন্দিরকে ঘিরে তীর্থযাত্রা থেকে শোভাযাত্রা, প্রার্থনা, সঙ্গীতানুষ্ঠান, আচার-অনুষ্ঠান চলে বছরের এই সময়।  মহারাষ্ট্র, কর্নাটক থেকেও বহু মানুষ ওই মন্দিরে ভিড় করেন।