দাসপুর: দাসপুরের দুধকোমরা গ্রামে ঢুকেছে নদীর জল। দূর্বাচটি খালের পাশের কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক সাঁকো। আজ গ্রামবাসীরাই সাঁকো মেরামতির কাজে হাত লাগান। পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই দুর্গতদের অন্যত্র সরানো হয়েছে। 


ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপটে তছনছ একাধিক জেলা। বহু গ্রামে নদীর জল ঢুকেছে। কোথাও ভেঙেছে কাঁচা বাড়ি। কোথাও আবার অস্থায়ী সাঁকো তলিয়ে গেছে জলের তোড়ে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরেও একই পরিস্থিতি।  রূপনারায়ণ ও কাঁসাই নদীর সংযোগস্থলে দূর্বাচটি খালের জল ঢুকেছে দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের দুধকোমরা গ্রামে।  


খালের ওপর কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্যত্র। দুধকোমরা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক পাত্র জানিয়েছেন, খবর পেয়ে দুর্গতদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।  একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে সাহায্য করা হয়েছে। 


দুধকোমরা গ্রাম পঞ্চায়েত উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান পরিমল দিন্দা বলেছেন, খালের বেশ কয়েকটি বাঁশের সাঁকোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলি মেরামতি করতে হাত লাগিয়েছেন গ্রামবাসীরাই। রামপদ ভুঁইয়া নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে।  আমরা তাই নিজেদের উদ্যোগেই সাঁকো ঠিক করার চেষ্টা করছি। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করা হবে।  


ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক জেলা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও প্রচুর। ইতিমধ্যেই বহু মানুষকে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর। বিভিন্ন নদীতে জলস্তর বাড়ায় ভেঙে গিয়েছে নদী বাঁধ।  উল্লেখ্য, দুয়ারে সরকার, দুয়ারে রেশনের পর এবার ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, কারও কথায় ত্রাণ দেওয়া হবে না। ক্ষতিগ্রস্তরাই সরাসরি আবেদন জানাতে পারবেন। পাল্টা স্বচ্ছতা রাখতে ত্রাণ প্রাপকদের তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। আগামী ৩ থেকে ১৮ জুন 'দুয়ারে ত্রাণ' শিবিরে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদন নেওয়া হবে। এবার আর কারও মাধ্যমে নয়, যিনি ক্ষতিগ্রস্ত, তিনি সরাসরিই আবেদন জানাতে পারবেন।