কলকাতা: দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে এবার থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন আইএমএ-এর রাজ্য সম্পাদক শান্তনু সেন। একইসঙ্গে এদিন দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র।


আজ, শুক্রবার মুচিপাড়া থানায় শান্তনু সেন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, করোনাকালে বিভিন্ন সামগ্রী দেওয়ার নামে আইএমএ-র অফিসে আসেন দেবাঞ্জন। আইএমএ-র অফিসে এসে একাধিক সদস্যের সঙ্গে ছবি তুলে পোস্ট করেন। যথোপযুক্ত পদক্ষেপের দাবিতে মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ শান্তনু সেনের। অন্যদিকে, ভ্যাকসিন দেওয়ার নামে বহু মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে দেবাঞ্জন দেব। এই অভিযোগে সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র।


গতকাল, লাভলি মৈত্র বলেন, সোনারপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কিছু মাস্ক, স্যানিটাইজার, ফেস শিল্ড দিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে আমার কোনও পরিচয় নেই। আমার বিধানসভা কেন্দ্রের কয়েকজন কসবার ক্যাম্পে গিয়ে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। তাঁরা আমাকে কিছু বলেননি। আমি আগে বিষয়টা জানতাম না। ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের আতঙ্কিতদের হওয়ার কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।


উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার তালতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। রবীন্দ্রনাথের আবক্ষ মূর্তির ফলকে নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে দেবাঞ্জনের নাম দেখা যায়। কীভাবে সাংসদ-মন্ত্রী-মেয়রের নামের মধ্যে দেবাঞ্জন? এই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পরেই ওই আবক্ষ মূর্তির ফলকে দেবাঞ্জনের নামের অংশে কালো রঙ দিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে নাম থাকলেও ২৬ ফেব্রুয়ারি মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে ছিলেন না নয়না-সুদীপ। তেমনটাই দাবি করা হয়েছে। তাঁদের অনুমতি ছাড়া কীভাবে সুদীপ-নয়নার নাম এল ফলকে? এই মর্মে তালতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নয়না।


ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেবকে জেরায় সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের দাবি, ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ১ বছর ধরে প্রতারণার জাল ছড়িয়েছিল ভ্যাকসিনকাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেব। করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরই ছক সাজিয়ে ফেলে সে। শুরুতে পিপিই, মাস্কের ব্যবসা করবে বলে ঠিক করলেও ধীরে ধীরে রাজনৈতিক যোগাযোগ বাড়িয়ে একের পর এক ভ্যাকসিন ক্যাম্পের আয়োজন করতে থাকে। স্পুটনিকের ভায়ালের লেবেলের ফটোকপি লাগিয়ে প্রতারণা করা হয়। কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে নিজেই কম্পিউটারে তৈরি করে জাল লেবেল।