নয়াদিল্লি: NCP প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা প্রত্যাহার করলেন শরদ পাওয়ার। চলতি সপ্তাহেই NCP প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন পদত্যাগের ইস্তফা প্রত্যাহার করা প্রসঙ্গে তিনি জানান, 'আমি আমার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলাম।'
ইস্তফা প্রত্যাহার করলেন শরদ পাওয়ার: এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বর্ষীয়ান NCP নেতা বলেন, "আমি কারোর অনুভূতিকে অসম্মান করতে পারি না। আপনাদের দাবি ছিল যেন আমি ইস্তফা প্রত্যাহার করি। আপনাদের ভালবাসা, দাবির প্রতি সম্মান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে বর্ষীয়ান NCP নেতাদের প্রস্তাবকে সম্মান জানিয়ে আমি ইস্তফা প্রত্যাহার করছি। NCP-র সর্বভারতীয় সভাপতি পদেই থাকছি।'' পাশাপাশি এদিন শরদ পাওয়ার উল্লেখ করেছেন, দলের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন। সর্বোচ্চ পদে প্রত্যাবর্তনের কথা ঘোষণা করার পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, দলের সাংগঠনিক পরিবর্তনের দিকে মনোনিবেশ করবেন এবং নতুন প্রাণশক্তি’ নিয়ে কাজ করবেন।
দল ছাড়ার ঘোষণায় স্বাভাবিক ভাবেই নড়চড়ে বসেছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহল। এনসিপি প্রতিষ্ঠাতার কে হবেন উত্তরসূরি ? তা নিয়েই চাঞ্চল্য ছড়ায় মারাঠা রাজনীতির অন্দরে। ১৯৯৯ সালে এনসিপি প্রতিষ্ঠা করেন শরদ পওয়ার। তারপর থেকেই দলের শীর্ষে তিনিই। পদত্যাগের ঘোষণা করে, ৮২ বছর বয়সী পওয়ার বলেন, তিনি আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না, 'একজনকে অবশ্যই কোথাও থামার কথা ভাবতে হবে।' তিনি আরও বলেন, "রাজ্যসভায় আমার তিন বছরের মেয়াদ বাকি আছে। আমি এখন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না। এই তিন বছরে আমি রাজ্য এবং দেশ সংক্রান্ত বিষয়ে আরও বেশি মনোযোগ দেব। আমি কোনও অতিরিক্ত দায়িত্ব নেব না"। শেষ পর্যন্ত ইস্তফা প্রত্যাহার করলেন শরদ পাওয়ার।
মহলে নানা জল্পনা সামনে আসে। আদানি ইস্যু নিয়ে যখন সারা দেশ ফুটছে, তখন আদানিকে প্রকাশ্যেই সমর্থন জানান পওয়ার। প্রায় সব বিরোধী দলই যখন আদানি-কাণ্ডে সংসদ উত্তাল করেছে, তখন তাতে আপত্তি প্রকাশ করেন তৎকালীন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার। এমনকী হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন তোলেন পওয়ার। তবে একথাও ঠিক শরদ পওয়ারের সঙ্গে শিল্পপতি আদানির ঘনিষ্ঠতা পুরনো।
আরও পড়ুন: Banana Skin Benefits: রুক্ষ-শুষ্ক ত্বকে ভরসা কলার ফেসপ্যাক, দূর করে বলিরেখা, বাড়ায় উজ্জ্বলতা