ঢাকা: শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ইতিমধ্যেই ভারতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। হাসিনার বিরুদ্ধে জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানাও। সেই আবহেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। হাসিনা-সহ মোট ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হল। (Sheikh Hasina)


মঙ্গলবার এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করল বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর আগে, হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের খবর সামনে এসেছিল। সেই সময় যদিও দাবি নস্যাৎ করে ইউনূস সরকার কিন্তু এবার তারাই হাসিনার পাসপোর্ট বাতিলের ঘোষণা করল। হাসিনার দল আওয়ামি লিগের আরও অনেকেরই পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। তাদের এই সিদ্ধান্তের ফলে, হাসিনা ভারত থেকে বাংলাদেশ যেতে গেলেই গ্রেফতার করা যেতে পারে তাঁকে।  (Bangladesh News)


এদিন ইউনূসের ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার হাসিনা এবং বাকিদের পাসপোর্ট বাতিল করার সিদ্ধান্ত জানান। জুলাই-অগাস্ট মাসে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন এবং গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে চালানো হত্যাকাণ্ড এবং লোকজনকে 'গুম' করে দেওয়ায় যুক্ত থাকার জন্যই হাসিনা এবং বাকিদের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ বলে জানান আজাদ।


এদিন ঢাকায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন আজাদ। তিনি জানান, গুম করে দেওয়ায় যুক্ত ২২ জন এবং জুলাই মাসের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। যাঁদের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে হাসিনার নামও রয়েছে বলে জানান আজাদ।


সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন গণ অভ্যুত্থানের আকার নিলে, গত বছর ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন হাসিনা। সেই থেকে তিনি ভারতেই রয়েছেন। হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরাতে ইতিমধ্যেই দিল্লির কাছে আবেদন জানিয়েছে ঢাকা। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সেখানকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে। আন্দোলনে শত শত মানুষের মৃত্যুর জন্য যেমন হাসিনাকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে, তেমনই ক্ষমতায় থাকাকালীন গত ১৫ বছরে হাসিনা সরকার বহুজনকে গুম করেছে, গায়েব করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ। 


এমন ১৬০০-রও বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে দাবি ইউনূস সরকারের। একদিন আগেই ট্রাইবুনালের তরফে গুম করে দেওয়ার মামলায় হাসিনা এবং অন্য ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সকলকে গ্রেফতার করে আদালতের সামনে উপস্থিত করতে হবে বলে জানানো হয়।