কলকাতা : গত অগাস্টের পর থেকে দেশ থেকে এক-এক করে মুছে ফেলা হচ্ছে শেখ হাসিনার চিহ্নগুলি। মুজিবুর রহমনের ধানমুন্ডির বাড়ি থেকে হাসিনার সরকারি বাসভবন, কোথাওই আর তার কোনো চিহ্ন রাখা হয়নি। ভেঙে ফেলা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি। কালি লেপে দেওয়া হয়েছে হাসিনার ছবিগুলিতে। আর এবার শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে জয়, মেয়ে পুতুল ও বোন রেহানার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুধু তাই নয়,  জানা গিয়েছে, হাসিনার পরিবারের সদস্যদের জমি-বাড়-ফ্ল্যাট সবকিছুই ক্রোক করার আদেশ দিয়েছে আদালত। এই তালিকায় আছে হাসিনার সুধা সদনও। সব হিসেব একত্রিত করলে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবার পরিজনের নামে এবং তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত প্রতিষ্ঠান মিলে সম্পত্তির মূল্য ৮ কোটির কম নয় ! 


প্রথম আলো সূত্রে খবর, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানার   ১২৪ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আদালতের নির্দেশে। অর্থাৎ হাসিনা ও তার পরিবারের সে-দেশে যেটুকু অবশিষ্ট ছিল, তার উপরও অধিকার হারালেন তাঁরা।


শুধু হাসিনা নয়, বোন রেহানার মেয়ে  টিউলিপ সিদ্দিকের উপরও আরোপ করা হল বিধি নিষেধ। তাঁর গুলশানে  ফ্ল্যাট রয়েছে। সেটিও ক্রোক করা হচ্ছে আদালতের নির্দেশে। এ ছাড়া ধানমন্ডিতে হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদের বাসভবন সুধা সদনও ক্রোক করে নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের  দুর্নীতির দমন কমিশনের বা দুদক আলাদা আলাদা মামলার  শুনানিতে এই নির্দেশগুলি দেয়। কমিশন সূত্রে খবর, শেখ হাসিনার ১৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট  অবরুদ্ধ করা হয়েছে। লেনদেন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে  আওয়ামী লীগের ও হাসিনা-পুত্রের কয়েকটি অ্যাকাউন্টের। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ট্রাস্ট সহ তাঁর নামাঙ্কিত বেশ কয়েকটি সংস্থার অ্যাকাউন্ট আদালত বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।  


শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগের তদন্ত  চলছে। তাই ব্যাঙ্কে রাখা অর্থ যাতে লেনদেন না করা যায় তাই এই ব্যবস্থা। কারণ এই টাকা যদি অভিযুক্তরা তুলে নেন, তাহলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটতে পারে, জানিয়েছে দু দ ক ।