RCB-র আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সেলিব্রেশন চলাকালীন হুড়হুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুমিছিল। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পিষে মৃত্যু হল অন্তত ১১ জনের। বাইরে যখন মৃত্যুমিছিল, তখনও স্টেডিয়ামের ভিতরে চলল বিজয় উৎসব। কেন ভিড় সামলাতে ব্যর্থ হল পুলিশ? প্রশ্ন তুলে কর্নাটক সরকারকে নিশানা করেছে বিজেপি। এরই মধ্যে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আরও কত জায়গায় পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে আগে”।
সাংবাদিক বৈঠকে সিদ্দিরামাইয়া বলেন, “এই ধরনের একাধিক পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে। এমনকী, এর থেকেও ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমি সেগুলি ব্যবহার করে সাফাই দিচ্ছি না। হয়ে গিয়েছে। কুম্ভ মেলাতেও হয়েছিল। কুম্ভ মেলায় প্রায় ৫০-৬০ জন মারা গিয়েছিলেন।” মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, স্টেডিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। রাজ্য সরকারের হাত ছিল না। রাজ্য শুধু অনুমতি দিয়েছিল এবং গোটা বেঙ্গালুরু পুলিশকে মোতায়েন করেছিল সহায়তার জন্য। সরকারের ঘাড়ে দোষ আসতেই তিনি দায় ঝেড়ে বলেন যে রাজ্য সরকার এই অনুষ্ঠান আয়োজন করেনি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ৬০ জন। সেই উদাহরণই টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। এর পাশাপাশি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি মৃতদের পরিবারের জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদানের ঘোষণা কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। এছাড়াও আহতদের বিনা পয়সায় চিকিৎসার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কর্নাটক উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার বলেন, 'ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিল পুলিশ। এই বিপুল ভিড় নিয়ন্ত্রণ করাই যাচ্ছিল না। কমবয়সিদের জমায়েতে তো আর লাঠিচার্জ করা যায় না! সেই কারণেই ট্রফি নিয়ে শোভাযাত্রার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হয়েছে। মাত্র ১০ মিনিটে অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গিয়েছে। তার পরেও বিপর্যয় এড়ানো যায়নি।'
নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।