মুম্বই: হৃতিক রোশন, বরুণ ধবন, সঞ্জয় দত্তের মত বলিউডে আলো ছড়ানো তারকা সন্তানরা যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন আরও একদল তারকা পুত্র কন্যা যাঁরা যথেষ্ট সুযোগ পেয়েও বিশেষ কিছু করতে পারেননি।  এমনই কিছু নাম হরমন বায়েজা, সুরজ পাঞ্চোলি, সিকান্দর খের।


হরমন বায়েজা ছিলেন প্রযোজন হ্যারি বায়েজার ছেলে। প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে প্রেম করতেন, প্রিয়ঙ্কার বিপরীতেই তাঁর প্রথম ছবি মুক্তি পায় ২০০৮-এ, লাভ স্টোরি ২০৫০। ছবি ফ্লপ করলেও পরের বছর বাবার সুবাদে আরও দুটি ছবি পান হরমন, ভিক্টরি এবং হোয়াটস ইওর রাশি? সে দুটিও ফ্লপ করে, বলিউড থেকে হারিয়ে যান হরমন।



সুরজ পাঞ্চোলি হলেন আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে। দেখতে শুনতে ভালই ছিলেন কিন্তু কেরিয়ার শুরুর আগেই তাঁর বাড়া ভাতে ছাই ঢালল জিয়া খানের আত্মহত্যা। জিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা ও তাঁর ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ এখনও সুরজের বিরুদ্ধে রয়েছে। হিরো ছবির মাধ্যমে তাঁকে বলিউডে আনেন খোদ সলমন খান। কিন্তু সাফল্য এখনও অধরা রয়েছে।



বিখ্যাত টিভি সঞ্চালক শেখর সুমনের ছেলে অধ্যয়ন সুমন হাল-এ-দিল ছবির মাধ্যমে বলিউডে আসেন। রাজ: দ্য মিস্ট্রি কন্টিনিউজ কিছুটা সাফল্য পায়। কিন্তু তারপর আর বিশেষ কিছু করতে পারেননি তিনি। অধ্যয়ন বলেছেন, বাবার সঙ্গে স্বজনপোষণ নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। বিতর্কটাই ভুল, এটা আসলে দল পাকানো। সুশান্ত সিংহ রাজপুতও বলেছিলেন, সমস্যা হচ্ছে, শুধু তারকা সন্তানদেরই সামনে এগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তা হলে তো আমরা আয়ুষ্মান খুরানা বা রাজকুমার রাওদের পেতাম না। আলিয়া ভট্ট, রণবীর কপূর, বরণ ধবনরা তারকা সন্তান হওয়ার সুবিধে প্রথম কয়েক বছর পেয়েছেন ঠিকই কিন্তু আজ যদি কেউ বলে, রণবীর অভিনয় করতে পারেন না, আমিই তাঁকে থাপ্পড় মারব।



অনুপম খেরের ছেলে সিকান্দর মনে করেন, স্বজনপোষণ রয়েছে। তবে কঠোর পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। তাঁর প্রথম ছবি উডস্টক ভিলা ফ্লপ করে। তারপর এদিক ওদিক কিছু কাজ করলেও বলিউড থেকে হারিয়ে গিয়েছেন সিকান্দর। তিনি বলেছেন, আমি যদি ছবি করতে চাই পরিচালক, প্রযোজকদের সঙ্গে দেখা করব। লাখ লাখ ছেলেমেয়ে এই ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন, তাঁরা সেই সুযোগটাও পাবেন না। কিন্তু যতজনের সঙ্গে দেখা করেছি, সবাই আমাকে কাজ দেননি। শুধু কারও ছেলে বা মেয়ে বলেই কেউ আপনার ওপর টাকা লাগাবে না, এটা পুরোটাই ব্যবসা।



মণীশ বহেলের মেয়ে, নূতনের নাতনি প্রানূতনকেও বলিউডে আনেন সলমন, গত বছর নোটবুক ছবির মাধ্যমে। ছবিটি ভাল চলেনি। মণীশের অবশ্য দাবি, মেয়ে নিজের যোগ্যতাতেই ছবি পেয়েছেন, তাঁর হাতে আরও একটি ছবি আছে, হেলমেট।



ঠাকুর্দা বলিউড-হলিউড সর্বত্র পরিচিত ছিলেন। কিন্তু প্রয়াত অমরীশ পুরীর নাতি বর্ধন পুরীও বলিউডে সহজে কাজ পাননি।  তিনি বলেছেন, ছবির জন্য ২৫ থেকে ৫০ জায়গায় সাক্ষাৎকার দেন, শেষমেষ আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে দেখা করে কাজের জন্য ভিক্ষে চান। গত বছর ইয়ে সালি আশিকি-র মাধ্যমে বলিউডে নাম লিখিয়েছেন তিনি। ছবি ফ্লপ করলেও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে।