সনৎ ঝা, দার্জিলিং: সিকিমে ভয়াবহ তুষারধসের জের। উত্তর সিকিমে পারমিট দেওয়ার ক্ষেত্রে লাগাম টানল প্রশাসন। সূত্রের খবর, সিকিম পুলিশ ও প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে উত্তর সিকিমে এবং পূর্ব সিকিমে এখনই আর পারমিট দেওয়া হবে না। পরবর্তী কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত এমনই চলবে।


উত্তর সিকিমের লাচুং, লাচেন পর্যন্ত পর্যটকদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। কিন্তু তারপরে আর যাওয়ার জন্য পারমিট দেওয়া হবে না। 


চলছে উদ্ধারকাজ:
গতকালের তুষারধসের পরে বুধবারও সিকিমে চলছে উদ্ধারকাজ। বরফে চাপা পড়ে যাওয়া রাস্তা সাফ করে যাতায়াত স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছে। আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার করার কাজও চলছে। মঙ্গলবার রাতে ভারী তুষারপাতের কারণে উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। সিকিম পুলিশ সূত্রে খবর, কেউ নিখোঁজ রয়েছেন এমন খবর পাওয়া যায়নি। তবুও সব দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। যাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে নেপাল, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লির বাসিন্দা রয়েছেন। তুষারধসের খবর পেয়ে গুজরাত থেকে মঙ্গলবারই সিকিমে এসেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। বেশ কিছু জখম পর্যটকের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। রাজ্যের তরফেই জখমদের চিকিৎসার খরচ বহন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এই সময়ে অনেকেই সিকিম ও লাগোয়া এলাকায় ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। অনেকে রওনা দিয়েছেন। তখন এমন ঘটনা কার্যত ধাক্কা লেগেছে পর্যটকদেরও। পারমিট না দিলে সিকিম যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করতে পারেন অনেক পর্যটক, সেক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বেন পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সকলেই।

সিকিমের নাথুলার কাছে তুষারধসে মৃত্য়ু হয়েছে অন্তত ৭ জনের। বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা গেলেও, এখনও অনেকের তুষারধসে আটকে থাকার আশঙ্কা। মঙ্গলবার সকাল ১১ টা নাগাদ হঠাৎ তুষারধস নামে ১৭ মাইল এলাকায়। ১৫ মাইল পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি ছিল পর্যটকদের। ১৭ মাইলে জলপ্রপাত দেখতে এগিয়ে যায় পর্যটকের দল তখনই ঘটে বিপত্তি। একাধিক পর্যটককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় সেনা হাসপাতালে। বরফের তলায় চাপা পড়ে যায় পর্যটকদের গাড়িও। উদ্ধারকাজে নামে সিকিম পুলিশ ও বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। বেলচা দিয়ে বরফের স্তর সরিয়ে উদ্ধার করা হয় অন্তত সাড়ে তিনশো পর্যটককে।


গতকালই মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেছেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। শোকপ্রকাশ করে ট্য়ুইট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে উদ্ধারকারী দলের। 


আরও পড়ুন:  'রাজ্য পুলিশ না পারলে প্যারামিলিটারির সাহায্য নিন' হাওড়া-রিষড়া অশান্তি প্রসঙ্গে জানাল উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট