নয়াদিল্লি :  রবিবার অসমের ( Assam )  পর সোমবার সিকিম ( Sikkim Earthquake )  উঠল কেঁপে। ভোর ৪.১৫ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভত হয় সিকিমে। ইউকসোমের উত্তর-পশ্চিমে কম্পনের উৎস। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩ । 


ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির (National Centre for Seismology ) তরফে জানানো হয়েছে, ভোর ৪.১৫ মিনিটে সিকিমের ইউকসোমের  ৭০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে ভূমিকম্পটি ঘটে। উৎস ছিল মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। রবিবার বিকেলে অসমের নওগাঁওতে একটি ৪.০  মাত্রার ভূমিকম্পের একদিন পরেই কম্পন অনুভূত হয়েছে। তার একদিন আগে গুজরাটের সুরাত জেলায় ৩.৮ মাত্রার একটি কম্পন অনুভূত হয়েছিল। 

অসমের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে রবিবার রিখটার স্কেলে ৪ মাত্রার ভূমিকম্পনের বিষয়টি একটি সরকারী বুলেটিনে বলা হয়। ভূমিকম্পের পর কোনও প্রাণহানি অথবা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির  খবর পাওয়া যায়নি বলেই জানানো হয়।


অসমে ভূমিকম্পনটি ৪.১৮ মিনিটে অনুভূত হয়।  কেন্দ্রস্থল ছিল ব্রহ্মপুত্র নদীর দক্ষিণ তীরে নওগাঁও জেলায়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে জানানো হয়। 






সম্প্রতি তুরস্কে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্প আতঙ্ক ছড়িয়েছে সারা বিশ্বে। ভারতে পার্বত্য অঞ্চলে কম্পন হলে কতবড় ক্ষতি হতে পারে, তা নিয়ে চিন্তায় সাধারণ মানুষ থেকে বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে বারবার কেঁপে উঠছে উপমহাদেশের পার্বত্য এলাকার মাটিও। 


এর আগে ২০১৩ সালে অক্টোবরে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সিকিমম ৷ সকাল ১১টা ৪৩ নাগাদ সিকিমে কম্পন অনুভূত হয়৷ রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৫৷ গ্যাংটক এবং শিলিগুড়ির কয়েকটি জায়গাতেও কম্পন অনুভূত হয় ৷ সেইবার  কম্পনের জেরে কয়েকটি বাড়িতে ফাটলও ধরে৷ বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি না হলেও, স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায় ৷ আতঙ্কের চোটে বহু মানুষ বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে পড়ে ৷ ২০১১ সালে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল সিকিমের বহু অংশ৷ মারা গিয়েছিলেন অনেকে৷ সেবার সিকিম ছাড়াও শিলিগুড়ি, কালিম্পং ও জলপাইগুড়ির কিছু অংশেও কম্পন অনুভূত হয়৷

তুরস্কের ভূমিকম্পের আপডেট


ভূমিকম্পের ৬ দিন পরেও, ধ্বংসস্তূপের নীচে মিলছে প্রাণের সাড়া। এর মধ্যেই আরও একবার কেঁপে উঠল তুরস্ক। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৪ দশমিক ৭। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দক্ষিণ তুরস্কেই নতুন করে কম্পন অনুভূত হয়। এবার কম্পনের উৎসস্থল কারমেমোরাস। পাশাপাশি চলছে উদ্ধারকাজ। তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছুঁইছুঁই। আহতের সংখ্যা ৮৭ হাজারের বেশি।