গুয়াহাটি: গত বছর মেঘভাঙা বৃষ্টির পর থেকেই একের পর এক বিপর্যয় ঘটে চলেছে। আবারও ভয়ঙ্কর বিপর্যয় নেমে এল সিকিমে। ধসের জেরে গুঁড়িয়ে গেল তিস্তা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের একাংশ। ন্যাশনাল হাইড্রোইলেক্টরিক পাওয়ার কর্পোরেশন (NHPC)-এর তিস্তা স্টেজ-৫ বাঁধটি গুঁড়িয়ে গিয়েছে। ধ্বংসের সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেছেন স্থানীয়রা, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। (Sikkim Landslide)


মঙ্গলবার সকালে সিকিমের বালুতারে এই ঘটনা ঘটেছে। গত কয়েক দিন ধরেই লাগাতার ধস নামছে ওই এলাকায়। তাই ৫১০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দীপু দারা কেন্দ্রটিকে নিয়ে আশঙ্কা দানা বাঁধছিল। তাই দিন কয়েক আগেই খালি করে দেওয়া হয় এলাকা। এদিন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন পাহাড়ের একটি অংশ খসে পড়লেও, তাই এদিন বিপর্যয়ের পর হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। (Teesta Dam Power Station)


জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কাছে যে সমস্ত মানুষ কাজ করছিলেন, ধসের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেছেন তাঁরা। ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, পাহাড়ের সামনের অংশ আচমকাই কেঁপে উঠল। এর পর গাছ-গাছালি সমেত খসে পড়ল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উপর। ধুলোয় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। সেই দৃশ্য দেখে চিৎকার করে ওঠেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা। 



গত বছর অক্টোবর মাসে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে কার্যত ভেসে যায় সিকিম। হড়পা বানে ভয়ঙ্কর ক্ষয়ক্ষতি হয়। চুংথাংয়ে সিকিমের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধের অংশ ভেসে যায় জলের তোড়ে। সেই থেকেই তিস্তা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ওই স্টেজ-৫ বাঁধটি অকার্যকর ছিল। সেই পরিস্থিতিতেই এই বিপর্যয় নেমে এল সিকিমে। ফলে দিশাহারা বোধ করছেন স্থানীয় মানুষজন।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ পাহাড়ের একটি অংশ খসে পড়ে। ওই পাহাড়ের নীচ দিয়েই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুড়ঙ্গ গড়ে তোলা হয়েছিল। এই ঘটনায় ১৭ থেকে ১৮টি বাডি়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই সব বাড়ির কিছু লোকজন NHPC-র কোয়ার্টারে রয়েছেন। বিপর্যয়ের কথা ভেবে স্থানীয় মানুষজনকে আগেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।