গুয়াহাটি : জুবিন গর্গ মৃত্যুর ঘটনায় বড় আপডেট। গ্রেফতার হলেন গায়কের তুতো ভাই সন্দীপন গর্গ। তিনি আবার অসমের পুলিশ অফিসার। সিঙ্গাপুরে ঘটনা ঘটার সময় তিনি জুবিনের সঙ্গেই ছিলেন বলে খবর। তাঁর গ্রেফতারির কথা নিশ্চিত করে SIT প্রধান এবং বিশেষ DGP মুন্না প্রসাদ গুপ্তা সংবাদ সংস্থা ANI-কে বলেন, "জুবিন গর্গের মৃত্যুর ঘটনায় APS অফিসার সন্দীপন গর্গকে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশের SIT/CID।" অর্থাৎ, এখন পর্যন্ত SIT/CID পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল। এই তালিকায় রয়েছেন- উত্তর-পূর্ব ভারত উৎসবের প্রধান আয়োজ শ্যামকানু মহান্ত, জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা, তাঁর ব্যান্ডমেট শেখর জ্যোতি গোস্বামী, সহ-গায়ক অমৃতপ্রভা মহান্ত এবং এখন সন্দীপন গর্গ।
সিঙ্গাপুরে একটি অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে গিয়েছিলেন জুবিন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সেখানে সমুদ্রে সাঁতার কাটতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয় তাঁর। ৫২ বছর বয়সী গায়ক একটি ইয়ট পার্টিতে সাঁতার কাটতে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে জলে মুখ থুবড়ে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। জুবিনের এই সফরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন সন্দীপন। যা তাঁর প্রথম বিদেশ সফর। ওই ইয়ট পার্টিতে তিনিও ছিলেন। জুবিনের মৃত্যুর পর তাঁর কিছু জিনিস দেশে ফিরিয়ে আনেন সন্দীপন। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পাঁচ দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, জুবিনের ব্যান্ডের সদস্য শেখর জ্যোতি গোস্বামী নাকি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, সিঙ্গাপুরে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছিল গায়কের উপর, আর তার জেরেই নাকি মৃত্যু হয়েছে গায়কের। আরও এক চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে এসেছে। জুবিন গর্গের আরেক ব্যান্ডমেট পার্থপ্রতিম গোস্বামী জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা এবং সহকর্মী শেখর জ্যোতি গোস্বামীর দিকে অবহেলা এবং অসাবধানতার অভিযোগ তুললেন। তাঁর দাবি, জুবিন গর্গের খিঁচুনি সমস্যা আছে জানা সত্ত্বেও, তাঁরা সারা রাত মদ্যপান করেন। পার্টি করেন। তাঁরাই গায়ককে ঘুমাতে দেননি। তারপরে তাদের সাঁতার কাটতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে।