নয়াদিল্লি: প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর রাজনীতিতে নামার আগে থেকেই নানা ইস্যুতে সোজাসাপটা কথা বলতেন। বিজেপিতে যোগদান, সাংসদ হওয়ার পরও সেই চরিত্র বজায় রেখেছেন। কাশ্মীর, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের মতো ইস্যুতে তিনি বরাবর কট্টর জাতীয়তাবাদী অবস্থান নিয়েছেন।
গতকাল জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার বেঘপোরা গ্রামে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘ এনকাউন্টারে হিজবুল মুজাহিদিনের অপারেশনস কম্যান্ডার রিয়াজ নাইকু, তার সহযোগীদের মৃত্যুর খবরে ট্যুইট করলেন, নরকে চিরকালের মতো ঘুমিয়ে থাক রিয়াজ নাইকু! ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আর কখনও বিরক্ত করতে আসিস না! বরাবরের মতো ভারতীয় সেনার মনোবল চাঙ্গা করার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদী শিবিরকেও এই ট্যুইটের মাধ্য়মে গম্ভীর একটা স্পষ্ট বার্তা দিলেন যে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে টক্কর নিতে যাওয়ার ফল ভাল হবে না।


হিজবুল প্রধান নাইকু ছিল মোস্ট ওয়ান্টেড কাশ্মীরী সন্ত্রাসবাদীদের অন্যতম। তার মাথার দাম ছিল ১২ লাখ টাকা। গতকাল তাকে তার নিজের গ্রামেই নিকেশ করে তার আগে সন্ত্রাসবাদীদের হাতে ৫ ভারতীয় নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যুর বদলা নিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার শুরু হওয়া এনকাউন্টার শেষ হয়েছে বুধবার। গতকাল নিহত হয় নাইকু, তার সঙ্গী। আর নাইকু যেখানে খতম হয়, সেখান থেকে খানিকটা দূরে একই জেলারই খ্রিউ এলাকার শারশালি গ্রামে নিরাপত্তাবাহিনীর পৃথক অভিযানে প্রাণ হারায় আরেক জঙ্গি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬র ৮ জুলাই অনন্তনাগের কোকেরনাগ এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলিযুদ্ধে হিজবুলের পোস্টার বয় বলে পরিচিত ও কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানি নিহত হওয়ার পর ওই গোষ্ঠীর হাল ধরে নাইকু। সন্ত্রাসবাদে সামিল হওয়ার আগে সে স্থানীয় স্কুলে অঙ্কের শিক্ষক ছিল।