স্মৃতি ইরানি। দেশ তাঁকে প্রথম চিনেছে 'শান্তিনিকেতনের বউমা' হিসেবে। 'কিঁউকি শাস ভি কভি বহু থি' তাঁকে পৌঁছে দিয়েছিল ঘরে ঘরে, মনে মনে। এরপর রাজনীতির অঙ্গনেও তিনি পেয়েছেন মানুষের আস্থা। অমেঠিতে রাহুল গাঁধীর মতো হেভিওয়েট প্রার্থীকেও তিনি হারিয়েছেন। পেয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীত্ব। অবশ্য গত লোকসভা নির্বাচনে সেই অমেঠিতেই তিনি হেরে যান। তারপর স্মৃতি ফের ছোট পর্দায়। রাজনীতির অঙ্গনে তাঁকে অনেকেই নরেন্দ্র মোদির ভরসার পাত্রী, ঘনিষ্ঠ মানুষ হিসেবে মনে করে থাকেন। কিন্তু সত্যিই কি তাই ? এই নিয়ে বড় দাবি করলেন স্মৃতি। নরেন্দ্র মোদির কাছের মানুষ কে, এই নিয়ে কথা বললেন স্মৃতি। 

Continues below advertisement

অভিনেত্রী সোহা আলি খানের ইউটিউব পডকাস্টের অতিথি ছিলেন স্মৃতি। সেখানে তিনি বলেন, এটাই সবচেয়ে বড় মিথ । তা তিনি ভাঙতে চান। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, প্রধানমন্ত্রীর কাছের মানুষ বলে কেউ নেই। স্মৃতি বলেন, কেউ যদি বলে, তিনি  প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ, তাহলে হয় তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে চেনেন না, নয়তো তাঁরা সরাসরি মিথ্যা বলছেন।  তিনি আরও বলেন,  প্রধানমন্ত্রী মোদি এমন একজন মানুষ, যিনি তার ঘর ছেড়েছেন বৃহত্তর উদ্দেশ্যে। তিনি কখনও এমন লোকদের বেছে নেননি, যাঁরা সেই বৃহত্তর উদ্দেশ্যে সেবা করার  যথেষ্ট যোগ্য নন। যাঁরা সেই  বৃহত্তর উদ্দেশ্যে কাজ করতে চান, তাঁদের তিনি শেখান কীভাবে কাজ করতে হয়...'উনি কিন্তু মনে রাখেন আপনি সেই ২০০৭ সালে কী বলেছিলেন। উনি আপনার দিকে তাকিয়েই সেই কথা বলে দিতে পারেন। ' 

স্মৃতি ইরানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।  তাঁকে কৃতিত্ব দেন  রাজ্যসভায় মনোনীত করার জন্য । স্মৃতিকে তিনি লোকসভাতেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সঁপেছিলেন। তার জন্যও মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। 

Continues below advertisement

বর্তমানে তিনি কিঁউকি সাস ভি কভি বহু থি-র সিজন ২ নিয়ে ব্যস্ত। এবারও এই সিরিয়ালে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে, অমর উপাধ্যায়, হিতেন তেজওয়ানি, গৌরী প্রধান, শক্তি আনন্দ, ঋতু শেঠ, কেতকী ডেভ এবং কমলিকা গুহঠাকুর্তাকে।