পাথানামথিট্টা : একই সময়ে আনন্দিত, আবার দুঃখিতও। উত্তেজিত এবং একইভাবে আবেগপ্রবণও। এমনই অবস্থা কেরলের বাসিন্দা থমাস চেরিয়ানের পরিবারের। যাঁর দেহ মিলল বিমান দুর্ঘটনার ৫৬ বছর পর। হিমাচল প্রদেশের রোহতাং পাসের ভেঙে পড়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান। তাতেই মৃত্যু হয় থমাসের। সোমবার সেনার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, একটি তল্লাশি অভিযানে যে চারজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যেই রয়েছে চেরিয়ানের দেহ।


১৯৬৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। চণ্ডীগড় থেকে লে উড়ে যাচ্ছিল দুই ইঞ্জিন-বিশিষ্ট টার্বোপ্রপ মালবাহী বিমান। তাতে ১০২ জন যাত্রী ছিলেন। ওইদিন নিখোঁজ হয়ে যায় বিমানটি। বরফাচ্ছাদিত এলাকায় চাপা পড়ে যায় নিখোঁজদের দেহাবশেষ।  পাথানামথিট্টা জেলার এলানথুরের বাসিন্দা চেরিয়ান। তাঁর পৈতৃক বাড়িতে এদিন এক ভাই সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা বুঝতে পারছি না কীভাবে পরিস্থিতির বর্ণনা করব। আমরা একইভাবে আনন্দিত এবং দুঃখিও।"  


চেরিয়ানের ভাই-বোনরা বলছেন, তাঁরা কখনোও কল্পনা করতে পারেননি যে মৃত্যুর এত বছর পর এভাবে প্রথা মেনে তাঁরা তাঁদের ভাইকে বিদায় জানাতে পারবেন। তাঁর বোনের কথায়, "বিমান দুর্ঘটনা যখন ঘটেছিল তখন আমার সবে ১২ বছর বয়স। আমার এখনও দাদাকে নিয়ে অস্পষ্ট স্মৃতি রয়েছে। যখনই বাড়ি আসত আমাদের জন্য অনেক কিছু জিনিস আনত। প্রশিক্ষণ শেষ করার পর পোস্টিংয়ে যোগ দিতে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক এই ঘটনার মুখে পড়েন চেরিয়ান। কাজে যোগ দেওয়ার পর দাদা দুই-তিন বার বাড়ি এসেছিল। আমাদের পরিবার এখন স্বস্তি পেল, কারণ ওর শেষকৃত্য করতে পারা যাবে। এভাবে তাঁর দেহাবশেষ উদ্ধার হওয়াকে আমরা বিশাল আশীর্বাদ হিসাবে গ্রহণ করছি। ঈশ্বরকে এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। "


এদিকে এতদিন পর দাদার দেহ উদ্ধার হওয়ায়, সেনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন চেরিয়ানের এক ছোট ভাই। পাশাপাশি জওয়ানদের প্রতি দেশবাসীর যে শ্রদ্ধা-সম্মান সেকথাও উল্লেখ করেন তিনি। এদিকে সেনার তরফে জানানো হয়েছে, একটি যৌথ দলের তল্লাশিতে দেহগুলি উদ্ধার হয়েছে। ওই দলে ভারতীয় সেনার   Dogra Scouts ও Tiranga Mountain Rescue-র কর্মীরা ছিলেন।


আরও পড়ুন ; '৪৫ দিন ঘুমাইনি, ভাল করে খাইওনি', আত্মহত্যা Bajaj Finance কর্মীর; 'টার্গেট পূরণের চাপ', উল্লেখ সুইসাইড নোটে


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।