নয়া দিল্লি: নব দম্পতি যখন হানিমুনে যাচ্ছেন, তখনও বাড়ির কেউ ঘুণাক্ষরে কিছু টের পাননি যে আগামী দিনে হতে চলেছে এক ভয়ঙ্কর পরিণতি। মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে খুন ও নিখোঁজকাণ্ডে রীতিমতো নাটকীয় মোড়। স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনে অভিযুক্ত খোদ নববিবাহিত স্ত্রী সোনম রঘুবংশী। সোনম ও তার প্রেমিক-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এরপরই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। 

চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, মেঘালয় পুলিশের তরফে দাবি করা হচ্ছে, স্বামীকে খুনের জন্য সুপারি দিয়েছিলেন নববধূ সোনমই। এরই মধ্যে খুন হওয়া ইন্দোর-ভিত্তিক ব্যবসায়ীর মা উমা রঘুবংশী বলেন, সোনম রঘুবংশী মেঘালয়ে তাদের মধুচন্দ্রিমা ভ্রমণের জন্য ভ্রমণ এবং থাকা সহ সমস্ত টিকিট বুক করেছিলেন - কিন্তু রিটার্ন টিকিট বুক করেননি। 

এমনকী একটি হিরের আংটি, একটি চেন এবং একটি ব্রেসলেট-সহ প্রায় ১০ লক্ষ টাকার গয়না নিয়েই হানিমুনে গিয়েছিলেন দম্পতি, এমনটাই দাবি সোনমের শাশুড়ির। তিনি এও বলেন, 'যেই খুন করিয়েছে তার কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি হওয়া উচিত। আমার ছেলে কী অবস্থায় ছিল, কতটা কষ্ট পেয়েছিল আর যদি সোনম ওকে অত ভালবাসত তাহলে ও রাজাকে ওই অবস্থায় ছেড়ে যেতে পারত না। সোনম কীভাবে সুরক্ষিত আছে? তার উপরে কোনও আঘাত এল না কেন?সবার কঠোর থেকে কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।'                                            

মেঘালয়ে রাজার দেহ মিললেও নিখোঁজ ছিলেন সোনম। ১৬ দিন নিখোঁজ থাকার পর রবিবার রাত ১টা নাগাদ উত্তরপ্রদেশের গাজি়পুরের একটি ধাবায় দেখা যায় সোনমকে। ধাবা মালিক সাহিল যাদবের দাবি, রাত ১টা নাগাদ কাঁদতে কাঁদতে তাঁর ধাবায় আসেন সোনম। পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চান জানিয়ে দাবা মালিকের ফোনটি চান। পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হয় সোনমের। তাঁর ভাই ইনদওর পুলিশকে বিষয়টি জানান। অন্যদিকে ধাবা মালিকও খবর দেন থানায়। পুলিশ সূত্রে খবর, থানায় নিয়ে যাওয়া হলে আত্মসমর্পণ করেন সোনম।                                                    

যদি ধৃতের বাবার দাবি তাঁর মেয়ে নির্দোষ।