ইনদৌর: মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বামীকে খুন ! সোনম ও রাজা রঘুবংশীর কথা এখন সারা দেশ জানে। কীভাবে বিয়ের মেহেন্দি ফিকে হওয়ার আগেই স্বামীকে খুন করে সোনম। সেই গা-শিউরে ওঠা কাহিনি এখন লোকের মুখে মুখে। তবে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, কীভাবে বয়সে ছোট, দ্বাদশ অনুত্তীর্ণ রাজ কুশওয়ার প্রেমে পড়ল সোনম ? কী এমন ছিল সেই সম্পর্কে, যা বাঁচাতে স্বামীকে খুন করতেও হাত কাঁপল না সোনমের? রাজ ও সোনমের সম্পর্ক নিয়ে এবার সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।
রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশ কখনও মেঘালয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে, কখনও আবার ইনদৌরে। এই ইনদৌরেরই মেয়ে সোনম। তার অভিযুক্ত-প্রেমিক রাজও ইনদৌরের ছেলে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুই প্রধান অভিযুক্ত সোনম রঘুবংশী এবং তার কথিত প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার পরিচিতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।পুলিশ সূত্রের খবর, উঠে আসছে চমকপ্রদ তথ্য। যে ট্যাক্সি ড্রাইভার রাজার খুনের পর ইনদৌরে গা-ঢাকা দিয়ে থাকা সোনমকে উত্তর প্রদেশে নিয়ে গিয়েছিল, তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ট্যাক্সি চালকের নাম প্রমোদ সাহা ওরফে পীযূষ। তিনি বলেন, এই ট্যাক্সিতে উত্তরপ্রদেশে পৌঁছানোর পর, ৮ জুন গভীর রাতে গাজীপুর জেলায় সোনম পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার স্থানীয় পুলিশের অপরাধ দমন শাখার অফিসের বাইরে সোনমের ভাই গোবিন্দকে দেখা যায়। এর আগে, বুধবার ইনদৌরে মেঘালয় পুলিশ তদন্তের জন্য সোনমের ভাইকে কয়েকটি জায়গায় নিয়ে যায় , বলে খবর।
জানা গিয়েছে, পারিবারিক ব্যবসা সামলাতেন সোনম। সেখানেই কাজ করত রাজ কুশওয়া। তাই পুলিশ এদিন কয়েকজন কর্মচারী এবং কুশওয়াহার সঙ্গে পরিচিত কয়েকজনকে অফিসে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সোনমের পরিবার আসবাবপত্রে ব্যবহৃত সানমাইকা শিটের ব্যবসা করে। বিয়ের পরও এই ব্যবসার সঙ্গে সোনম যুক্ত ছিল। সেখানেই কাজ করতেন রাজ। পুলিশের মতে, রাজা রঘুবংশী হত্যা মামলার ষড়যন্ত্রকারী রাজ কুশওয়াহার পড়াশোনার দৌড় ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত। সেই গণ্ডিও পেরোয়নি সে। অথচ সে সোনমের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করত। সেখানেই বাড়ে ঘনিষ্ঠতা।
সোনমের ফোন এবং গয়না কোথায়?
তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজা রঘুবংশীকে হত্যার পর সোনম ইনদৌরে ফেরে। তবে এখনও তার বেশ কিছু জিনিসের খোঁজ মেলেনি।