ইনদৌর : আবার শিরোনামে সোনম রঘুবংশী মামলা। মে মাসে সারা দেশে তোলপাড় ফেলে দেয় ইনদৌরের রাজা রঘুবংশী হত্যা মামলা। বিয়ে মাত্র কয়েকদিন পর মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে খুন হয়ে যান রাজা রঘুবংশী । তদন্তে সামনে আসে, রাজার স্ত্রী সোনমই পরিকল্পনা তাঁর স্বামীকে হত্যা করিয়েছেন। অভিযোগ, সোনম তাঁর প্রেমিক রাজ কুশওয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই হত্যা করান। এরই মধ্যে আবার চর্চায় রঘুবংশী পরিবার।

এবার রাজা রঘুবংশীর বড় ভাই সচিন রঘুবংশীকে নিয়ে নতুন বিতর্ক সামনে এসেছে । মঙ্গলবার, এক মহিলা তাঁর শিশু সন্তানকে নিয়ে সহকার নগরে তাঁর বাড়ির বাইরে এসে চেঁচামেচি শুরু করেন।  দাবি করেন যে রাজা রঘুবংশীর বড় ভাই সচিনই তার সন্তানের বাবা।  মহিলার অভিযোগ, সন্তানের জন্মের পর সচিন তাঁকে ও ছেলেকে ছেড়ে চলে যান ।  এখন তাঁদের অসহায় জীবনযাপন করতে হচ্ছে। এদিকে মৃত রাজা রঘুবংশীর ভাই সচিন মহিলার সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, এসবই তাঁর সম্মানহানি করার ষড়যন্ত্র । 

স্থানীয়দের মতে, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় মহিলা দাবি করেন, তাঁর কাছে শিশুটির ডিএনএ রিপোর্ট আছে। এই রিপোর্টই প্রমাণ করে যে সচিনই শিশুটির বাবা। মহিলার দাবি, তিনি যখন রঘুবংশী পরিবারের বাড়িতে পৌঁছান, তখন সচিন সেখান থেকে পালিয়ে যান এবং তাঁর মা ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেন। তিনি আরও বলেন, অনেকবার আবেদন করার পরেও তিনি ন্যায়বিচার পাননি এবং তাই এখন তিনি প্রকাশ্যে কথা বলছেন।

অন্যদিকে, সচিন রঘুবংশী মহিলার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। বলেন, "এই মহিলা আমাকে এবং আমার পরিবারের মানহানি করার চেষ্টা করছেন। তিনি আমার কাছ থেকে টাকা আদায় করতে চান। আমি শীঘ্রই এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেব যাতে সত্য বেরিয়ে আসে।" এই বিষয়টি ইতিমধ্যেই বিতর্কিত রাজা রঘুবংশীর মৃত্যু মামলাকে আরও জটিল করে তুলছে।

উল্লেখ্য, রাজা রঘুবংশী ২৩শে মে মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। ২ জুন পূর্ব খাসি পাহাড় জেলার সোহরা এলাকার একটি গভীর খাদ থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের মামলায় তাঁর স্ত্রী সোনম, তাঁর প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা এবং আরও ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন এই মহিলার নতুন অভিযোগ আবারও এই পরিবারকে শিরোনামে এনেছে।