কলকাতা: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ইস্যুতে মেয়ের ইনস্টাগ্রাম পোস্ট আলোড়ন তোলার পর ট্যুইট করে তাঁকে বিতর্কে টেনে না আনার জন্য আবেদন করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। পোস্টটি ‘সত্যি নয়’ বলেও জানিয়েছেন তিনি। সানার পোস্টটি শোরগোল ফেলার পর সৌরভ ট্যুইটে লেখেন, ওকে এসব ব্যাপার থেকে রেহাই দেওয়ার আবেদন করছি। পোস্টটি সত্যি নয়। রাজনীতির কিছু বোঝার মতো বয়সই হয়নি ওর, খুবই ছোট।



ওই পোস্ট অনুযায়ী, সিএএ ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) সারা দেশে চালুর ঘোষণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিক্ষোভের মধ্যেই দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের উপর পুলিশি আক্রমণের নিন্দা করেন সৌরভ-কন্যা সানা। এই ইস্যুতে বিক্ষোভ, আন্দোলনের মধ্যে প্রয়াত সাহিত্যিক খুশবন্ত সিংহের ‘দ্য এন্ড অফ ইন্ডিয়া’ বইয়ের একটি অংশ তুলে বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি তথা প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়কের মেয়ের পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। মেয়ের মনোভাব নিয়ে সৌরভের কী অবস্থান, তা নিয়েও জল্পনা দানা বাঁধে। যদিও সানাও সেটি পরে মুছে দেন।
সানা তাতে লেখেন, ‘সব ফ্যাসিস্ত শাসকেরই একটি সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীকে ভয়ঙ্কর হিসেবে দেখানোর দরকার হয়। একটি বা দু’টি গোষ্ঠীকে দিয়ে এই কাজ শুরু হয়। কিন্তু সেখানেই এটা শেষ হয়ে যায় না। ঘৃণাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা কোনও আন্দোলন ক্রমাগত ভয় ও দ্বন্দ্ব তৈরি করে যাওয়ার মাধ্যমেই টিকে থাকে। আমাদের মধ্যে যারা ভাবছে, মুসলিম বা খ্রিস্টান নয় বলে নিরাপদ, তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। সঙ্ঘ পরিবার ইতিমধ্যেই বামপন্থী ইতিহাসবিদ ও ‘পশ্চিমী ঘেঁষা’ যুব সম্প্রদায়কে আক্রমণ করছে। আগামীকাল আক্রমণের শিকার হবে স্কার্ট পরা মেয়েরা, যারা মাংস খায়, মদ্যপান করে, বিদেশি ছবি দেখে, মন্দিরে বার্ষিক তীর্থে যায় না, দন্তমঞ্জনের বদলে টুথপেস্ট ব্যবহার করে, বৈদ্যর বদলে অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তারের কাছে যায়, কারও সঙ্গে দেখা হলে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়ার বদলে হাত মেলায় বা চুম্বন করে। কেউই নিরাপদ নয়। ভারতকে যদি বাঁচিয়ে রাখতে চাই, তাহলে আমাদের এটা বুঝতে হবে।’