গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: একটানা বৃষ্টিতে ( Rain Update ) বিপর্যস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ( South 24 Pargana ) উপকূলভাগ। টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে প়ড়েছে সুন্দরবনের নীচু এলাকা। ভেঙে পড়েছে বহু গাছ। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা দুর্যোগের মধ্যে জেলার উপকূর এলাকা। জল বে়ড়েছে নদীতে। এরই মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীতে বড়সড় দুর্ঘটনার মুখ থেকে বেঁচে ফিরল শতাধিক লঞ্চ যাত্রী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার জেরে পাটাতন সহ লঞ্চটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। লঞ্চটিতে শতাধিক যাত্রী ছিলেন। অন্ধকার ও বৃষ্টির মধ্যে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। এরপর যাত্রীদের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে এগিয়ে আসেন অন্য মৎস্যজীবী নৌকার মাঝিরা। প্রত্যেক যাত্রী ও লঞ্চের সারেঙকে উদ্ধার করে ঘাটে পৌঁছে দেয় মৎস্যজীবীরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে নামখানা ও কাকদ্বীপ থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এফবি বিশ্বমাতা নামের লঞ্চটি সাগরের বেনুবন থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে নামখানা ঘাটে ফিরছিল। সেইসময় নামখানা ঘাট থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটি মৎস্যজীবী ট্রলার সজোরে ধাক্কা মারে লঞ্চটিকে। তৎক্ষণাৎ লঞ্চটির একদিক ভেঙে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পাটাতন ফেটে যায়। পুলিশ ট্রলারটিকে আটক করেছে। চালক পলাতক।
এর আগে রাতে গত অগাস্টে সাগরে ডুবে যায় আরেকটি ট্রলার। কোনওক্রমে রক্ষা পান ১৭ জন মৎস্যজীবী। পাঁচদিন আগে পাথরপ্রতিমার সীতারামপুর থেকে FB প্রসেনজিৎ ট্রলারে চেপে গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে যান মৎস্যজীবীরা। আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা পেয়ে গভীর রাতে ফেরার সময়, সীতারামপুর থেকে আরও ২৫ কিলোমিটার ভিতরে সাগরে ট্রলারডুবি হয়। পাশেই আরেকটি ট্রলারের মৎস্যজীবীরা ডুবন্ত মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করেন। তাঁদের কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখনও বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, সাগরে হাজার হাজার ট্রলার ফিরে এসেছিল। আর এবারও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দুর্যোগের অশনি সঙ্কেতের মধ্যেই হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীতে বড়সড় দুর্ঘটনা।
অন্যদিকে নিম্নচাপের জেরে ঝাড়খণ্ডে টানার বৃষ্টির জের। মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল পরিমাণ বাড়িয়েছে ডিভিসি। আর তার জেরে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ায় দুর্গাপুর ব্যারাজও। সকাল ৮টা পর থেকে প্রায় ৯৭ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়। জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে সেচ দফতর সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর ব্যারাজের ছাড়া জলে প্লাবিত হয় হুগলি, হাওড়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমানের বেশ কিছু এলাকা। শুক্রবারও জল ছাড়া আরও উদ্বেগ বাড়চ্ছে।
আরও পড়ুন :