কলকাতা: কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা দক্ষিণ দমদম পুরসভার। পুরসভার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী ১৪ দিন প্রত্যেক সোম,বুধ ও শুক্রবার পুর এলাকার সব বাজার-দোকান বন্ধ থাকবে। ১ জুলাই থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে। পুরসভার তরফে বলা হয়েছে, মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনি খোলা থাকবে দুপুর ২ টো পর্যন্ত। পুরসভার পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, নিয়ম না মানলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


সংক্রমণ রুখতে আগেই হাওড়ার বেশ কিছু এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। অন্যদিকে, হুগলির সিঙ্গুর ও গোঘাটের বেশ কিছু এলাকাকেও কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য করোনার সংক্রমণে বেড়ি পরানো। সেই লক্ষ্যেই হাওড়ার ডোমজুড়-সহ বেশ কিছু এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করেছিল ব্লক প্রশাসন। পাশাপাশি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বন্ধ রাখা হয়েছিল দোকান ও বাজার। প্রশাসন সূত্রে খবর, ডোমজুড় বাজার, ঘুসুড়ির নস্করপাড়া বাজার, সাঁকরাইলের চাঁপাতলা, রাজগঞ্জ এবং আন্দুল বাজার মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়। শুধুমাত্র ছাড় দেওয়া হয়েছিল অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ক্ষেত্রে। হুগলির বেশ কিছু গ্রামীণ এলাকাও কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। সিঙ্গুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত, বড়া ও বৈঁচিপোতা পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকাকে  কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করে ব্লক প্রশাসন।


রাজ্যে কমছে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। কিন্তু কড়াকড়িতে ঢিলেমি দিতে চাইছে না প্রশাসন। ইতিমধ্যে রাজ্যে করোনা সংক্রান্ত বিধির সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে। এবার স্থানীয়ভাবেও বিধি আরোপ করার পথে হাঁটছে প্রশাসন। উল্লেখ্য, গতকাল, মঙ্গলবারের বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৯৫ জন। এই সময় পর্বে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। ২৯ জুনের হিসেবে রাজ্যে করোনা অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২১ হাজার ১১৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ২৪ জন। এদিনের হিসেব বলছে রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭.৪১ শতাংশ।