কলকাতা: কুয়েতে বিধ্বংসী আগুনে (Kuwait Fire Death) হত, ৪৫ জন ভারতীয়ের দেহাবশেষ নিয়ে কেরলের মাটি ছুঁল ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমান (Body Brought Back In Kerala)। এটির পরবর্তী গন্তব্য দিল্লি। দিনদুয়েক আগে, কুয়েতে এক ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ওই ৪৫ জন ভারতীয়। যে বিমানে তাঁদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, সেখানে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী তথা গোন্ডার সাংসদ কীর্তি বর্ধন সিং-ও রয়েছেন বলে খবর। কোচির বিমানবন্দরের সামনে আপাতত সার বেঁধে দাঁড়িয়ে রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স। শেষ বারের মতো হত ভারতীয়দের পরিজনদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। 


বিশদ...
এদিন, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ, কোচি বিমানবন্দরের মাটি ছোয় ভারতীয় বায়ুসেনার ওই বিশেষ বিমান। যে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁর মধ্যে ২৩ জনই কেরলের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে ৭ জন তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। এছাড়া উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, বিহার, পঞ্জাব, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গের মানুষও রয়েছেন হতদের তালিকায়। এদিন তাঁদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে আনার পর বেশ কিছুক্ষণ বিমানবন্দরের বাইরে রাখা হয়। তাঁদের শ্রদ্ধা জানান, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং। বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড থেকে যাঁরা জীবিত ফিরেছেন, তাঁদের সঙ্গে, গত কাল, বৃহস্পতিবার কথা বলেন ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিক এবং তদন্তকারীরা। প্রাথমিক ভাবে, বিশাল গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে বলে খবর। সাত তলা ওই ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে অন্তত দু ডজন গ্যাস সিলিন্ডার রাখা হয়েছিল বলে সূত্রে খবর। ঠেসাঠেসি করে থাকতে হত কর্মীদের। তাঁদের থাকার জায়গা আলাদা করতে ব্যবহার করা হয়েছিল পেপার, কার্ডবোর্ড, প্লাস্টিকের মতো দাহ্যবস্তু। দরজার মাপ ছিল সিলিং পর্যন্ত। ফলে, আগুন লাগার পর কর্মীরা যে পালাবেন, সে সুযোগও পাওয়া যায়নি--এমনই প্রাথমিক ভাবে জেনেছেন তদন্তকারীরা। 
প্রশাসন সূত্রে খবর, এমনতি সরকারি আনুষ্ঠানিকতা সেরে দেহাবশেষ ফেরাতে অন্তত দিনদশেক সময় লেগে যেতে পারত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ নির্দেশ দিয়েছিলেন, দ্রুত পরিবারের কাছে দেহাবশেষ ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তাই বিদেশমন্ত্রক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরই কুয়েত ছুটে যান কীর্তি বর্ধন সিং। 


 


যা ঘটেছিল...
বুধবার, কুয়েতের মঙ্গফ শহরে সাত তলা একটি ভবনে বিধ্বংসী আগুনে অন্তত ৪৮ জনের মৃত্যু হয়। এঁদের মধ্যে ৪৫ জন ভারতীয়, বাকি ৩ জন ফিলিপিন্সের বাসিন্দা বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়। থাকারও ব্যবস্থা ছিল ওই ভবনে। ১৭৬ জন ভারতীয় কর্মী সেখানে থাকতেন। এখনও ৩৩ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হতদের দেহের হাল এতটাই খারাপ ছিল যে ডিএনএ পরীক্ষা করে তাঁদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হন তদন্তকারীরা। কিন্তু প্রশ্ন হল, একই ভবনে ১৭৬ জন থাকছিলেন কী ভাবে? সেই তদন্ত করছে কুয়েত প্রশাসন।


 


আরও পড়ুন:ভোর রাতে ঘুম থেকে উঠে বৃদ্ধা দেখলেন, ঘরে বসে ৪ যুবক, মাথায় লাগানো স্পট লাইট..