নয়াদিল্লি : রাশিয়া থেকে ভারতে এসে পৌঁছল ‘স্পুটনিক ভি’ ভ্যাকসিন। আগামী সপ্তাহ থেকেই যে ভ্যাকসিন বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করে টিকাকরণ শুরু করা হবে বলেই প্রত্যাশা নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভিকে পলের। এদিকে, জুলাই থেকে ভারতেই শুরু হবে ‘স্পুটনিক ভি’-র উৎপাদন। প্রায় ১৬ কোটির মতো স্পুটনিক ভি তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর মাঝেই হু এবং এফডিএ অনুমোদিত অন্যান্য ভ্যাকসিন আমদানিতেও সম্মতি। যার ফলে ফাইজার, মর্ডানা, জনসন অ্যান্ড জনসনের মতো সংস্থার বানানো টিকা ভারতের আনার ক্ষেত্রে সমস্যা মিটবে। যে পরিস্থিতিতে দেশে চলতে থাকা ভ্যাকসিন ভোগান্তি মিটবে বলেই প্রত্যাশা।


বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল (স্বাস্থ্য) জানিয়েছেন, 'ভারতে এসে পৌঁছেছে স্পুটনিক ভ্যাকসিন। আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আগামী সপ্তাহ থেকেই যা বাজারজাত করা যাবে। রাশিয়া থেকে আপাতত যে অল্প সংখ্যক স্পুটনিক টিকা এসে পৌঁছেছে তা দিয়ে আগামী সপ্তাহ থেকেই টিকাকরণের কাজ শুরু করা যাবে বলেই প্রত্যাশা রাখছি।' তিনি জোড়েন, 'আগামী দিনে রাশিয়া থেকে আরও ভ্যাকসিন এসে পৌঁছবে। জুলাই থেকে ভারতেই স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন উৎপাদনের কাজ শুরু হয়ে যাবে। ১৫.৬ কোটি টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।'


পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এফডিএ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) অনুমোদন রয়েছেন এমন যে কোনও ভ্যাকসিনকে অনুমোদনে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ১-২ দিনের মধ্যেই সব সম্মতি পেয়ে যাবে তারা। মর্ডানা, ফাইজার, জনসন অ্যান্ড জনসনের মতো অপর টিকা নির্মাতা সংস্থার সঙ্গে সরকার যোগাযোগ রেখে চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সরকারিভাবে তাদের ভারতে টিকা পাঠানোর বিষয়েও বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি জনসন অ্যান্ড জনসন সংস্থার সঙ্গেও পরে ভারতের মাটিতে ভ্যাকসিন উৎপাদনের বিষয়ে সরকারের আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছেন ভিকে পল। বিভিন্ন টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা দ্রুতই ভারতে টিকা সরবরাহের কাজ শুরু করে দেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।